ফের ম্যালিশাস অ্যাপ মুছলো গুগল আক্রান্ত কোটি ডিভাইস

| শুক্রবার , ১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্লে স্টোর থেকে ফের প্রায় দুইশ’ ম্যালিশাস অ্যাপ সরিয়েছে গুগল। এবার সম্ভাব্য আক্রান্ত ডিভাইসের সংখ্যা ধরা হচ্ছে এক কোটিরও বেশি। মোবাইল সুরক্ষা সংস্থা জিমপেরিয়ামের মতে, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ছড়িয়েছে ‘গ্রিফটহর্স’ নামের এই বড় মাপের স্ক্যামিং ক্যাম্পেইন। খবর বিডিনিউজের।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যার্ডের প্রতিবেদন বলছে, গুগল ম্যালিশাস অ্যাপের বিষয়ে ক্রমাগত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু সামপ্রতিক ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে যে এ সমস্যার সমাধান এখনও অনেক দূরে। এবারও আগের মতোই ঘটনা ঘটেছে। ‘হ্যান্ডি ট্রান্সলেটর প্রো’, ‘হার্ট রেট পালস ট্র্যাকার’ এবং ‘বাস ু মেট্রোলিস ২০২১’ নামে দেখা গেছে অ্যাপগুলোকে।কিন্তু প্রথম দেখায় নিরীহ মনে হওয়া এই অ্যাপগুলো ডাউনলোডের পরপরই প্রচুর ম্যালিশাস নোটিফিকেশন পাঠাতো ব্যবহারকারীকে। ওয়্যার্ড বলছে, ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচটি নোটিফিকেশন পেতেন। পুরস্কার পেতে তাদেরকে ফোন নাম্বার নিশ্চিত করতে বলতো অ্যাপগুলো।পুরস্কার ‘ক্লেইম’ করার জন্য ইন-অ্যাপ ব্রাউজার দিয়ে আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হতো এক ওয়েব পেইজে। একবার সেখানে ফোন নাম্বার দিয়ে দেওয়ার পর আক্রমণকারীরা আক্রান্তকে প্রিমিয়াম এসএমএস সার্ভিস সেবার জন্য তালিকাভুক্ত করে প্রায় ৪২ ডলার কেটে নিতো। সাধারণত এ ধরনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার জন্য অর্থ দিয়ে থাকেন ব্যবহারকারী। কিন্তু ম্যালিশাস এ হামলার ক্ষেত্রে পুরো অর্থটাই চলে যেতো আক্রমণকারীদের হাতে। সবমিলিয়ে ৭০টিরও বেশি দেশের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে চলেছে ম্যালিশাস কার্যক্রমটি। অ্যাপগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আইপি পরীক্ষা করে ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বুঝার চেষ্টা করতো। পরে ওই অঞ্চলের ভাষায় ওয়েব পেইজ দেখাতো। ম্যালওয়্যার পরিচালকরা সতর্কভাবেই এক ইউআরএল দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতো না। কারণ এতে করে নিরাপত্তা গবেষকরা সহজেই তাদের ট্র্যাক করার সুযোগ পেয়ে যেতেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১২২.৯৮ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধএইচপি দলকে হারাল ‘এ’ দল