ফের দাবানলের মতো বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

সাইদুন্নিছা তোহফা | রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে বেশ কয়েকমাস স্তিমিত ছিলো করোনা পরিস্থিতি। হাতে গোনা কয়েকজন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেনি। কিন্তু ইদানীং আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬’৫১ শতাংশ এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত বারো জন। এভাবে দিনের পর দিন লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা ও।

সংক্রমণের এ সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ার পেছনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলাকেই বেশি দায়ী করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর অমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারীর শেষ দিকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্তের হার কমেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুলে দেওয়া হয় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তুলে নেওয়া হয় করোনার সব বিধিনিষেধ। এতে জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সর্বত্র অবাধে চলাফেরা করেছে। এক্ষেত্রে হতাশার বিষয় হলো, দেশের সিংহভাগ জনগণ এখন হাত ধোয়া থেকে শুরু করে করোনা সম্পর্কিত যাবতীয় নিয়মনীতি ভুলতে বসেছে।

তাছাড়া পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে প্রথম বোস্টার ডোজ গ্রহনের মাত্রা ২০ শতাংশের নিচে। উল্লেখ্য যে, বয়স্ক ও শিশুরা, যারা টিকা নেয়নি তারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বাণিজ্য মেলা, বিয়ে সহ সামাজিক জনসমাগম গুলোতে লোকজন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাই করছেনা আজকাল। ইতোমধ্যেই ঢাকা সহ দেশের অন্য শহর গুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মানুষ নানা জায়গায় ভ্রমণ করবেন।

এ সময় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে না মানলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সবার টিকা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ দেশের সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালনের তাগিদ দিতে হবে। তাছাড়া ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করে, দেশব্যাপী জনসচেতনতা বাড়ালে করোনা সংক্রমণ কিছুটা রোধ হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠুক মানবতার জয়গান
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে