চট্টগ্রাম কাস্টমসে ফেবিক্স–রাসায়নিক পদার্থসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামী ২১ মে। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৬০ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে– ডায়রি, ফেব্রিক্স, চালকলের যন্ত্রাংশ, ইউজড উইন্ডার মেশিন, সিরামিকের ফুলদানি, প্লাস্টিক হ্যাংগার, মেটাল ফ্রেম, ব্যাটারি লিড, ওয়াশিং কেমিক্যাল, তেতুল বিচি, পিভিসি রিবন, গার্মেন্টস অ্যাকসেসোরিজ, পেপার হ্যাং ট্যাগ, ক্র্যাফট কার্টন, ওয়াল পেপার, বই, রাসায়নিক পদার্থ, পিভিসি রেজিন, মেটাল স্ট্যান্ড পার্টস অব সুইং মেশিন, পলিপ্রোপিলিন, এয়ারকন্ডিশনার, এলিভেটর স্পেয়ার পার্টস, থ্রি হুইলার ফোর স্টোক সিবিইউ কন্ডিশন, পলয়েস্টার সুতা, ইলাস্টিক টেপ এবং ডেন্টাল প্রোডাক্টস,
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেএম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস, কাস্টমসের নিলাম শাখা অফিস এবং ঢাকার মতিঝিল অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সংগৃহীত দরপত্র আগামী ১৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) কার্যালয় এবং ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আইডিইবি ভবনে স্থাপিত দরপত্রের বাক্সে। এরপর আগামী ২১ মে বেলা ১১ টায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার মোহাম্মদ নাহিদুন্নবী দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমরা নিয়মিত নিলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় ছাড়াও বন্দরের ইয়ার্ড খালি করা হচ্ছে।
