ফেব্রিক্স-রাসায়নিক পদার্থসহ ৭৪ লট পণ্যের নিলাম কাল

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ মে, ২০২১ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরণের ফেব্রিক্স এবং রাসায়নিক পদার্থসহ ৭৪ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে আগামীকাল। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত দুই মাসের নিলামের গতি কিছুটা কমে যায়। এর আগে সর্বশেষ ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ৫০ লট পণ্য নিলামে তুলে কস্টমস কর্তৃপক্ষ।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, এবারের নিলামে রয়েছে-ফেব্রিক্স, হাইড্রোলিক অ্যাসিড, গৃহস্থলীর সরঞ্জাম, ফিনিশিং এজেন্ট, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, কার্টন অ্যাকসোসরিজ, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, প্লাস্টিক বাটন, সিকিউরিটি ট্যাগ, প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, সাইজ ক্লিপ, ক্যালেন্ডার, ডায়রি, সিঙ্গেল ফেজ ইলেকট্রনিক্স পণ্য, লিড প্যানেল লাইট, ফার্মাসিটিউক্যালসের কাঁচামাল, অ্যালুমিনিয়ামের দরজা, জানালা এবং তৈরি পোশাক। গত ১৮ মে থেকে নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়। চলবে আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করে জমা দেওয়া যাবে আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) উপস্থিতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে। নিলাম উপলক্ষে বরাবরের মতোই কাস্টমসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দপ্তরে দরপত্র জমা দেয়ার বক্স স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, মাঝখানে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তবে এখন থেকে আবার নিয়মিত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘ সময় আটক কিংবা অখালাসকৃত পণ্য বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকার কারণে জট সৃষ্টি হয়। তাই নিয়মিত নিলাম কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চার্জও পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই দফা পিছিয়ে বাতিল হলো স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধপানের চালান নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন চালক ও হেলপার