ফুটবলারদের ফিটনেসে আরো উন্নতি চান কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১৮ মে, ২০২১ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

কাতারের আবহাওয়ার সাথে এই সময়টা বেশ উপযোগী বলে মনে করছে বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। বাংলাদেশে এখন প্রচন্ড গরম। তবে তা এখনো কাতারের মত নয়। তারপরও জৈষ্ঠের এই কড়া রোদে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম দিনে শিষ্যদের ঈদ পরবর্তী ফিটনেস অবস্থা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন হেড কোচ জেমি ডে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় অনুশীলন পর্ব। চলে দুপুর পর্যন্ত। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বকে সামনে রেখে গত ১১ মে ক্যাম্প শুরু করলেও মাঝখানে ঈদের ছুটির জন্য বন্ধ ছিল। গতকাল থেকে তা আবার শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ফুটবলাররা ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন কিনা, ফিটনেস অবস্থার অবনতি হয়েছে কিনা গতকাল সেটাই বেশি করে দেখেছেন জেমি ডে। কোচ জানিয়েছেন শিষ্যদের ফিটনেস লেভেল ভাল আছে। জেমি বলেন, ওরা ভালো অ্যাথলেট। নিজেদের খেয়াল রাখে। খাবারের ব্যাপারেও বেশ সচেতন। একটি বিরতির পর নিজেদের ফিরে পেতে কয়েকটি সেশন প্রয়োজন হয়। ফুটবলারদের যে পর্যায়ে পাওয়া দরকার ছিল সেই পর্যায়েই পেয়েছি আমি। আমাদের হাতে তিন সপ্তাহ সময় আছে। এর মধ্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে খেলার আগে ফিটনেসের দিক থেকে ওরা সেরা অবস্থায় আছে। তবে শিষ্যদের ফিটনেসে আরও যে উন্নতি চান সেটাও বুঝিয়ে দিলেন জেমি। খেলোয়াড়দের ফিটনেস কি অবস্থায় আছে তা জানতে গতকাল সকালে ইয়োইয়ো টেস্ট করানো হয়েছে। যেহেতু মাঝখানে কয়েক দিনের বিরতি ছিল তাই আগের অবস্থায় ফিরতে একটু সময় লাগবে। আগামী পাঁচ দিন এটা নিয়েই কাজ করব।
এরপর স্কোয়াড ২৫ জনে নামিয়ে আনা হবে। প্রথম ম্যাচের আগে কাজ করার জন্য তারপরও ১২ দিনের মতো সময় থাকবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলে নির্বাচিত হতে হলে অবশ্যই খেলোয়াড়দের ফিটনেস একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে থাকা প্রয়োজন বলে জানালেন দলেল হেড কোচ। তিনি বলেন আমি মনে করি ছেলেরা সেই পর্যায়ে আছে এখন। যদি কেউ না থাকে তাহলে আমরা পরের সপ্তাহে আবার ইয়োইয়ো টেস্ট করাব। তবে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে সবাই ভালো অবস্থায় আছে। আগামী ৩ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এরপর ৭ মে ভারত ও ১৫ মে ওমানের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কাতারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিয়াল ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন জিদান
পরবর্তী নিবন্ধভুলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২ ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন সাড়ে সাত কোটি ডলার