ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় প্রসঙ্গে

| শুক্রবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পেয়ে আমি অবাক। গত কিছুদিন আগে আমি একটি ফার্মেসীতে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নিতে গেলে ফার্মেসীর লোক আমাকে ১ পাতা ওষুধ দেয়। তখন পাতার বাক্সটি পুরোনো মনে হওয়ায় সন্দেহজনক মনে করে ঔষুধের পাতার উপর মেয়াদের তারিখ যখন দেখি পাতাটি তখন দেখলাম মেয়াদোত্তীর্ণ। শিক্ষিত লোকেরা না হয় মেয়াদ আছে কি দেখে ওষুধ সেবন করতে পারে। কিন্তু একজন অশিক্ষিত ব্যক্তির পক্ষে মেয়াদ দেখা বা বোঝা সম্ভবনা নাও হতে পারে। কারণ তারা এ বিষয়ে তেমন সচেতন না এবং তারা পড়তে বা বুঝতে পারে না। ফলে তাদেরকে এরকম মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেয়া হলে তারা তা সেবনের ফলে যেকোনো ধরনের অসুস্থ হয়ে যেতে পারে যা একজন ব্যক্তিকে মৃত্যুর মুখে টেলে দিতে পারে। তাই ফার্মেসীর ঔষুধ বিক্রেতাদের উচিত হবে কাস্টমারদের নিকট ঔষুধ বিক্রির সময় সর্বদা মেয়াদ চেক করে ওষুধ দেয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধপত্র ফার্মেসীতে না রাখা। এ বিষয়ে প্রতিটি জায়গায় প্রশাসনের উচিত হবে ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে প্রতি মাসে একবার করে ফার্মেসীগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের নজরদারিই এতে মুখ্য বলে বিবেচিত। শুধু ফার্মেসী নয় খাবারের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোতেও পর্যবেক্ষণ করা দরকার।

এস.এম.মাঈন উদ্দীন রুবেল

বোয়ালখালি, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধউইলিয়াম বাটলার ইয়েটস: ইংরেজি সাহিত্যের এক প্রবাদ পুরুষ
পরবর্তী নিবন্ধআমার নৌকা