ফাইনালে ভারত নাকি ইংল্যান্ড

দুদলই মাঠে নামবে আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১০ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গেছে ভারত এবং ইংল্যান্ড। দু দলই এখন সেমিফাইনালে। তবে ভারত যতটা সহজভাবে শেষ চারে গেছে ততটা সহজ ছিল না ইংল্যান্ডের কাছে। সুপার টুয়েলভ পর্ব শেষে তিন দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাওয়ায় নেট রান রেটে ইংল্যান্ড জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। বিদায় নিতে হয় স্বাগতিক এবং গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে।

অপরদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে শুরু করা ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত। তবে সেমিফাইনালে লড়াইটা যে কঠিনই হচ্ছে রোহিত শর্মাদের জন্য সেটা একেবারেই পরিষ্কার। কারণ দু দলই দারুণ শক্তিশালী হয়ে এসেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বিশেষ করে ব্যাটিং এবং বোলিং দু বিভাগেই ভারত এবং ইংল্যান্ড সমানে সমান। বিরাট কোহলির ব্যাটে রানের বন্যা বইছে। লোকেশ রাহুল, সুরিয়া কুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারাও কম যাচ্ছেন না। অপরদিকে ইংল্যান্ড দলের জস বাটলার, আলেঙ হেলস, মঈন আলি, বেন স্টোকসরা উড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। অবশ্য দলটির সবচাইতে বড় তারকা ডেভিড মালানের সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তিনি ইনজুরিতে রয়েছেন। বোলিংয়েও দু দল সমানে সমান।

গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। তাই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের দারুণ একটি সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। হয়তো আইসিসিও চাইছে সে ধরনের কিছু। কারণ ক্রিকেটের সাথে যে বাণিজ্যের বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। আর ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল মানে আইসিসির পকেট ভরে যাওয়া তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে ইংল্যান্ড চাইছে সে সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়াটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যেই তারা মাঠে নামবে তেমনটি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ড আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে যেন মরিয়া হয়ে আছে। ২০১৫ সালের পর যতগুলো আইসিসি ইভেন্ট হয়েছে তার সবগুলোর সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। গত টি-টোয়েন্টি আসরে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ফাইনালের আগে বিদায় নিলেও এবারে আর ফাইনালের আগে ফিরতে চাইছে না ইংলিশরা। অপরদিকে ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আর কোন শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। তাই একটা শিরোপার জন্য তারা যেন তৃঞ্চার্থ হয়ে আছে। টুর্নামেন্টে ভারতীয় দল যে ফর্মে রয়েছে তাতে হয়তো এরা একটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়ে যেতে পারে এই আসরেই।

শক্তি, সামর্থ, ফর্ম সব মিলিয়ে ভারত এবং ইংল্যান্ড দু দলই প্রায় সমানে সমান। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ভারত। দু দলের ২২ মোকাবেলায় ১০টি জয় ইংল্যান্ডের। ১২টি জিতেছে ভারত। দু দলের সবশেষ ৫ মোকাবেলায় চারবারই জিতেছে ভারত। একটি ম্যাচে জিতেছে ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায়ও এগিয়ে ভারত। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে জিতেছিল ভারত। আর ২০০৯ সালে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে এটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট। কারণ এটি ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। আর সে লড়াইয়ে যারাই সেরাটা দিতে পারবে জিতবে তারাই। এখন দেখার বিষয় ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনাল নাকি ভারতকে হটিয়ে ইংলিশরাই উঠে পড়ে ফাইনালের রঙ্গমঞ্চে। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুই টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৩ বছর পর ফাইনালে পাকিস্তান
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে ভাসমান সাম্পানে ৬ ঘণ্টার অনশন