কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম আমিন উল্লাহ। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসিকে। গত বুধবার দায়ের করা মামলার নথি বৃহস্পতিবার থানায় পৌঁছেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হলে নির্মাণসামগ্রী এনে সেখানে নেওয়া হয়। গত ১২ মার্চ দুপুরে বালুভর্তি একটি ট্রাক এসে মসজিদের পাশে বালু ফেলে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল লোক এসে বালু ফেলে যাওয়া গাড়িটির সন্ধান চান ইমামের কাছে। এ সময় ইমাম গাড়িটি কোথায় গেছে জানেন না বলতেই তাকে শারিরিকভাবে মারধর করে তারা। এই অবস্থায় লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেওয়া হয় ইমামকে। এজাহারে ইমাম দাবি করেছেন, বনবিভাগের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে, বনবিভাগকে টাকা দিতে হবে তা না হলে এখানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না, না হলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা চলে যান।
তবে অভিযোগ একেবারেই অবান্তর বলে দাবি করেছেন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ। তিনি বলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তাকে আমি কখনো দেখিনি। তাছাড়া আমি রেঞ্জে যোগদান করেছি মাসখানেক হবে।