ফলদ গাছ কেটে জায়গা উদ্ধার করল বনবিভাগ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ জুলাই, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নে ফলদ গাছ কেটে বনবিভাগের বিরুদ্ধে জায়গা উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ভোররাতে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম ধোপাছড়ির চাপাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, জলিল বঙ নামে এক ব্যক্তি বনবিভাগের জায়গায় বসবাস শুরু করে ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফলফলাদির বাগান করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তার পুত্র আবুল বশরও ৬ হাজারের মতো পেপে বাগান সৃজন করেন। একই বাগানে তিনি সমপ্রতি ২ হাজার উন্নতজাতের কুলের চারাও রোপন করে।
আবুল বশর জানান, তিনি কয়েকটি ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাগান গড়ে তোলেন। তার বাগানে ফলনও শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বনবিভাগ তার বাগান কেটে দেয়ায় এখন পুরো পরিবার পথে বসেছে। বাড়ি ভিটে বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। একইদিন জরিনা বেগমের লেবু ও সুপারী বাগান কেটে দেয়া হয়।
বনবিভাগ দোহাজারী রেঞ্জের রেঞ্জার সিকদার আতিকুর রহমান জানান, পশ্চিম ধোপাছড়ি মৌজার বিএস দাগ ১৬৭৩ এবং ১২২৩ এ ২ একরের মতো জায়গা দখলে ছিল আবুল বশরের। পর্যায়ক্রমে সে বনবিভাগের প্রায় ১০ একরের মতো জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাগান করে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৭ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় বনায়নের উদ্দেশ্যে চারা রোপনের জন্য তাকে একাধিকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বললেও সে জায়গা ছেড়ে দেয়নি। মুলত চলতি বছর বনায়ন করার জন্যই সম্পূর্ণ আইনগতভাবে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১০ একরের মতো সরকারি বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এখন সেখানে নতুন করে গাছের চারা রোপন করা হবে বলেও জানান তিনি। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) শফিকুল ইসলাম জানান, এখানে যারা ভিলেজার হিসেবে আছেন তারা সাময়িক ফসল চাষ করেন। যখন বনবিভাগের জায়গা প্রয়োজন হবে তখন তারা জায়গা ছেড়ে দেন। বর্তমানে আমাদের বনায়নের কাজ চলমান। বনায়নের জন্যই জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ইউএনও’র কাছে
পরবর্তী নিবন্ধফুলকিতে অভিভাবকদের নিয়ে অরিগ্যামি কর্মশালা