প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ চাই

| বুধবার , ৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে প্রতিদিনই ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক-পলিথিন। মাছ-মাংস, শাক-সবজি থেকে শুরু করে যেকোনো দ্রব্য বহন করতেও পলিথিন ছাড়া আমরা ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু এই মাত্রাতিরিক্ত পলিথিনের ব্যবহার ক্রমাগত আমাদের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে। পচনশীল না হওয়ায় পলিথিনের ব্যবহারে পরিবেশ ও মাটি দূষণ ঘটছে যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে মানবজীবনে। মূলত এটি একটি মানবসৃষ্ট দূষণ। পলিথিন কিংবা প্লাস্টিক দূষণ মানবজীবনের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ। একটি পলিথিনের ভেতর থাকা ‘বিষ্ফেনাল’ নামক উপাদান আমাদের বহন করে থাকা খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে যেতে পারে যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পলিথিন ধীরে ধীরে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

মাত্রাতিরিক্ত পলিথিন প্লাস্টিকের ব্যবহারের কারণে মাটি দূষণ বেড়েছে ফলে ফসল উৎপাদন ভালো হচ্ছে না সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্লাস্টিক পলিথিন গিয়ে পড়ছে নদীতে, ফলে হারাচ্ছে নদীর নাব্যতা। এছাড়া এসব বর্জ্য সাগরের পানিতে মিশে প্রাণীদের জীবনহানির ঘটনা ঘটছে। অসংখ্য প্রাণী এসব প্লাস্টিককে খাদ্য মনে করে গিলে খাচ্ছে এবং অপচনশীল দ্রব্য গিলে ফেলায় সাগরে মূল্যবান অনেক প্রাণীর মৃত্যু বেড়েছে।

শুধু তাই নয়, অনেক সময় এসব বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়, ফলে বায়ু দূষণও ঘটে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গবেষণার তথ্যানুযায়ী, উপাদান এবং কাঠামোর উপর নির্ভর করে প্লাস্টিক পচতে ২০ থেকে ৫০০ বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে। মূলত একটি প্লাস্টিক কত দ্রুত পচে যায় তা সূর্যালোকের আলো-বিকিরণের উপর নির্ভর করে। প্লাস্টিক ব্যবহার দ্রুত বন্ধ করা না গেলে এটি মানবজীবনের জন্য আরো ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। সর্বশেষ ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ; বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ নিয়ে কোনো কার্যকরী বা বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে তাই দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

রাহাত শাহরিয়ার ফাহিম
ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিলান টমাস : ব্যতিক্রমী কবি প্রতিভা
পরবর্তী নিবন্ধস্বপ্নসৌধ