প্লাস্টিক নিষিদ্ধ আইনের বাস্তবায়ন কতদূর?

| বৃহস্পতিবার , ১০ মার্চ, ২০২২ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

জীবজন্তু ও পরিবেশের জন্য পলিথিন এবং প্লাস্টিক খুবই ক্ষতিকর। অথচ, আজকাল দেশের সর্বত্রই পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর ছড়াছড়ি। অথচ, প্লাস্টিক ও পলিথিন সামগ্রীর উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ’ আইনের ৬(ক) ধারা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা আছে, প্লাস্টিক বা এরকম অন্যান্য সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
কিন্তু, দুঃখের বিষয় হলো, সে আইন প্রয়োগের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো অনেক পিছিয়ে। এমনকি, এই আইনের ব্যবহার ও প্রচারণা এতই কম যে, অনেকে এটি জানেনই না যে, বাংলাদেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে, এভাবে আর বেশীদিন চলতে দেয়া যাবে না। জনসাধারণকে প্লাস্টিক ব্যাগের প্রতি নিরুৎসাহিত করতে ব্যাগের উপর প্রয়োজনে অতিরিক্ত কর আরোপ করতে হবে। একই সাথে পাটজাত পচনশীল ব্যাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে তাদের উৎপাদন ও সরবরাহে সহযোগিতা করতে হবে। আশার কথা হলো, বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন বেশ সন্তোষজনক। এমনকি এই উৎপাদন হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। প্রয়োজন কেবল পাটজাত পণ্য তৈরীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সামান্য সহযোগিতা। মোটকথা, প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক থেকে মানুষ, জীব-জন্তু ও পরিবেশকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ আইনের বাস্তব প্রয়োগ করতে হবে।

মোঃ নাঈম ইসলাম
শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুবোধ ঘোষ: কালজয়ী কথাশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধবই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন