পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে ওই প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা। থানামহিরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হাজী আলমকে (ফুটবল প্রতীক) এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। আহত যুবক স্থানীয় এখলাছুর রহমানের পুত্র নাঈম উদ্দিন (৩৫)। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালেও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। তার মাথায় ৭টি সেলাই হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতের বড়ভাই নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মেম্বার প্রার্থী হাজী আলমকে প্রধান আসামি করে ১২ জনকে এজাহার নামীয় ও ২০/২৫ কে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পটিয়া থানায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাতে থানামহিরা গ্রামে ভোট চলাকালীন এই হামলার ঘটনা ঘটে।
মালার বাদী নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, আমার ভাই ইউপি নিবার্চন চলাকালীন থানামহিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ছিল। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল রশিদ চৌধুরী এজাজের অনুসারী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হাজী আলম তার পক্ষে কাজ না করার অভিযোগ তুলে ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। আলম মেম্বার ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়ির আশেপাশে অগ্নিসংযোগ করে।
এ ব্যাপারে পরাজিত ইউপি মেম্বার প্রার্থী হাজী আলমের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।