প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না

| বুধবার , ৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

প্রাথমিক শিক্ষার স্তর শেষ করে নিম্ন মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দিতে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা আর থাকছে না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। সেখানে তিনি বলেন, ভিন্ন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বৃত্তি দেওয়া হবে। তবে সেই মূল্যায়ন কীভাবে, কীসের ভিত্তিতে হবে, এ বছর বৃত্তি কীভাবে দেওয়া হবেতা স্পষ্ট করেননি তিনি। খবর বিডিনিউজের।

বৃত্তি দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার বাইরে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সারা দেশে একযোগে হওয়া ওই পরীক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু করে সরকার। এরপর থেকে ওই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই মেধা বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। ফলে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।

দেশে কোভিড মহামারী শুরু হলে ২০২০ ও ২০২১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ওই সময় বৃত্তিও দেওয়া হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে যেহেতু, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে এক যুগ পর ২০২২ সালে আবারও আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এখন আবার সিদ্ধান্ত বদলানো হচ্ছে কেন, মঙ্গলবার বিকালে সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সভা শেষে তা সংবাদিকদের সামনে ব্যাখ্যা করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, এই বৃত্তিটা মেধাবৃত্তির একটি ব্যবস্থা। এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী ও অমেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি বিভাজন তৈরি হয়। তাছাড়া এটা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের সাথে একেবারে সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, মাত্র ২০ ভাগ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এই ২০ ভাগকে নিয়েই অভিভাবকশিক্ষক সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের এঙট্রা কেয়ার নেন। আর বাকি ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর বিষয়ে নজর দেওয়া হয় না। এখানে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হওয়ার চেয়ে বঞ্চিত হয় বেশি। তাই এ পরীক্ষাটা এখন থেকে আর থাকছে না। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য অনেক ব্যবস্থা রয়েছে মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, সেগুলোর মাধ্যমে তারা অনুপ্রাণিত হতে পারবে। যারা ভালো করবে, দক্ষতা দেখাবে, তাদের জন্য অলিম্পিয়াড, মেধা অন্বেষণের মত প্রতিযোগিতা রয়েছে। তারা এগুলোতে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হওয়ার সুযোগ পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিতুর নামে করা বিনিয়োগ থেকে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেন সাইফুল
পরবর্তী নিবন্ধদেশে একদিনে ২৭৪২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, ৬২% ঢাকার বাইরের