প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

| বুধবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিত্য নতুন নয়। পাবলিক পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় ফাঁসের খবর আসছে সংবাদমাধ্যমে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি কোনোভাবে হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে ছাত্র-শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা অনেকে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে এর আগে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। গত বছর নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতির দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে পুলিশ সোপর্দ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে। গত অক্টোবরে নেত্রকোনায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন জালিয়াতি করতে গিয়েছে ধরা পড়েন দুই যুবক । ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা এমনকি বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ জালিয়াতির অভিযোগে দেশের সবচেয়ে বড় চক্র শনাক্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এছাড়াও গত ৬ নভেম্বর পাঁচ ব্যাংকে অফিসার পদ ১৫১১ জনকে নিয়োগ দিতে যে পরীক্ষা হয়েছে সেখানে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ধরনের ঘটনা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সহজ উপায় হচ্ছে অপরাধীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা প্রতিরোধে দেশে আইন আছে। যখন জালিয়াত চক্রের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো কঠোর হতে হবে। এ চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। আসা করি সরকার এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এটাই প্রত্যাশা।
জেসমিন আক্তার
শিক্ষার্থী, জয়নাল হাজারী কলেজ ফেনী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখান সরওয়ার মুরশিদ : মননের আলোকবর্তিকা
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের সমাজ ও পার্থিব উন্নতির পথ