প্রযুক্তির সহজ হস্তান্তর ছাড়া বৈষম্য থেকে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

| রবিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

প্রযুক্তি সহজলভ্য, সহজে হস্তান্তরযোগ্য হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে; নইলে বৈষম্য থেকে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তি যেন সবাই সমানভাবে ব্যবহার করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি শিল্প খাতে প্রতি শত বছর পরপর দেখা দেওয়া বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানান। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুদিনের এ সম্মেলন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যার যার গতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য, সহজে হস্তান্তরযোগ্য হয় তাহলে সেটা সম্ভব হবে। আর যদি সেটা না হয় তাহলে বৈষম্য থেকে যাবে। তিনি বলেন, শিল্পায়ন আমাদের প্রয়োজন। আমাদের দেশের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়নও আমাদের প্রয়োজন। কাজেই কৃষি ও শিল্প দুটোই প্রয়োজন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বিভিন্ন পদক্ষেপ আমাদের নিতে হচ্ছে।
বিশ্বে প্রতি শত বছর পরপর শিল্প ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিবর্তন দেখা দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিবর্তনের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পর্যায় ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়েছে। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত। সেটা লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ পর্যায়ে সাশ্রয়ী ও সবুজ ভ্যালু চেইন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পৃথিবী আজকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। একদিকে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী এবং সহজে ব্যবহারকারী সম্পদশালী উন্নত দেশগুলো। অন্যদিকে এসব ক্ষেত্রে যারা বিনিয়োগে সক্ষমতা রাখে না, স্বল্পোন্নত বা অন্যান্য দেশগুলো, বলেন তিনি।
এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি যেন সকলে সমানভাবে ব্যবহার করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে এ ক্ষেত্রে। কারণ তাদের সরবরাহ বাড়াতে হলে স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশকে তাদের প্রয়োজন আছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন, মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে; সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে, অসমতা বাড়বে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে এবং প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়বে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, সদস্য মো.সাজ্জাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোভিডের বুস্টার ডোজ শুরু ১০ দিনের মধ্যে
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬