প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান উন্নয়নের মহোৎসবে বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম

আবদুচ ছালাম | শনিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ at ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

আজ ২৮ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রামে আসছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এর রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেল সড়কের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে চট্টগ্রামে। পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা প্রান্ত পর্যন্ত কর্ণফুলীর তলদেশে প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু টানেলটি উদ্বোধন করবেন উন্নয়নের ম্যাজিসিয়ান বাঙালির উন্নত ভবিষ্যতের রচয়িতা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। নতুন যুগে প্রবেশের রোমাঞ্চে শিহরিত চট্টগ্রামের মানুষ তাই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতেছে আজ। চট্টলার জনপদে আজ উৎসবের আমেজ, আনন্দের ফল্‌গুধারা। যার আন্তরিকতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় স্বপ্নযুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম, সেই উন্নয়ন আর অগ্রগতিতর বিস্ময়মানবী বাঙালির প্রাণের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাতে এবং যুগান্তরের সাক্ষী হতে কর্ণফুলীর এপাড়ওপাড় দুপাড়েই মুখিয়ে রয়েছে লাখো লাখো জনতা। বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসায় সিক্ত করতে উন্মুখ আমরা চট্টলাবাসী।

আমার সৌভাগ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং দীর্ঘ ১০ বছর এ পদে থেকে আমি তাঁর প্রত্যক্ষ উন্নয়নকর্মী হিসেবে কাজ করতে পেরেছি। আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা; দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও দূরদর্শীতা থাকলে একটি অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীকেও দ্রুত অগ্রসরমান জাতিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বলা বাহুল্য, আমার এ উপলব্ধি জাতির জনকের কন্যা প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেই হয়েছে।

উন্নয়নে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি। দারিদ্র্যতা হ্রাস করে উন্নয়নে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন বাঙালি জাতির ভাগ্যর পরিবর্তন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, লক্ষ্য অর্জনে সঠিক পরিকল্পনা, সাহসিকতা ও দৃঢ়তা আজ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের প্রধান মার্শি টেম্বন বলেছেন, ‘যখন আমরা বাংলাদেশে কাজ শুরু করি, বাংলাদেশ তখন ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)-এর একটি নবীন সদস্য ছিল। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। এই সম্পর্ককে অনেক দূর নিয়ে গেছি, বাংলাদেশ সফল হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্য অনেক দেশে দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করেছে।’

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। মাত্র ৫১ বছর বয়সে বাংলাদেশ দারিদ্র্যতা কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রছদ প্রতিবেদন মানুষের ভাগ্য বদলাতে একে বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা এখন সবার নাগালে। লাখো নারী কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের বিষয়ে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন অনেক দক্ষ। বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অনেক কিছু। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেমানবসম্পদ উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ। শিল্প ও সেবা, বিদ্যুৎজ্বালানি, অবকাঠামোসহ অন্য খাতেও হয়েছে বড় বিনিয়োাগ। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং অন্যসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এখন অনেকটাই প্রস্তুত বাংলাদেশ। এর ফলে দেশের অর্থনীতি মজবুত একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতসব অর্জনের প্রায় সবটুকুই এসেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।

২০০৫০৬ অর্থবছরে দারিদ্র্যে হার ছিল ৪১.৫ শতাংশ। ২০২১২০২২ অর্থ বছরে এ হার কমে এসেছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০০৫০৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৪.২ হাজার কোটি টাকা। নানান চড়াইউৎড়াই এর পরও শেষ হওয়া ২০২১২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।

এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে চট্টগ্রামের ব্যবসাবাণিজ্য থেকে। দেশের সর্বমোট রপ্তানি বাণিজ্যেও প্রায় ৭৫ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। অন্যদিকে আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হার ৮০ ভাগ। অর্থাৎ চট্টগ্রাম হল, দেশের অর্থনৈতিক সঞ্চালনের জীবনী শক্তি। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দিয়েছে। এই দেশ যতদিন থাকবে অনেক প্রধানমন্ত্রী আসবেন, অনেক প্রধানমন্ত্রী যাবেন, কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার মত চট্টলদরদী প্রধানমন্ত্রী আর পাওয়া যাবে না। আমি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যে কোন প্রকল্প নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছি, কখনোই তিনি না করেননি। তার হাত ধরে অবহেলিত চট্টগ্রাম আজ কেবল বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম নান্দনিক ও সমৃদ্ধ শহর হতে চলেছে। শুধু শহর নয়, সমগ্র বৃহত্তর চট্টগ্রামে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ।

কর্ণফুলীর তলদেশে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকায় নির্মিত দুই টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেলটি আজ শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে দোহাজারীকক্সবাজারঘুনধুন পর্যন্ত রেলপথ। যার মধ্যে দোহাজারী হতে কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন, নভেম্বরে এর উদ্বোধনের আশা রয়েছে। কক্সবাজারে সাগর ছোঁয়া দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সম্বলিত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন। এ বছরের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিকেশন হাব হতে চলা বিমান বন্দরটি উদ্বোধন হতে পারে। মাতারবাড়ীতে নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। বাঁশখালীর গামারা ও মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তব রূপ ধারণ করেছে, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে দুটি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অসংখ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন সম্পাদিত হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুরলালখান বাজার আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার, স্টেশন রোডে কদমতলী ফ্লাইওভার, দেওয়ান হাট ওভারপাস, পতেঙ্গাফৌজদারহাট মেরিন ড্রাইভ আউটার সিটি রিং রোড, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়ন, বায়েজীদফৌজদারহাট বাইপাস রোড অন্যতম। এছাড়াও অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

যার মধ্যে বিমান বন্দর হতে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওযয়ে, প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার খাল খনন, সংস্কার ও পুনরুদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প, চাক্তাই হতে কালুরঘাট পর্যন্ত ৮.৫ কিলোমিটার রিভার ড্রাইভ রিং রোড, ১২টি খালের মুখে শক্তিশালী পাম্পসহ অটোমেটিক টাইডাল রেগুলেটর (স্লুইস গেট) নির্মাণ কাজ অন্যতম। এছাড়াও অনেক পুরনো সংকীর্ণ সড়ক সংস্কার, প্রশস্তকরণ, সমপ্রসারণ ও নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে চাক্তাই খাল খনন প্রকল্প, ২৫০০ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তা ও নালার উন্নয়ন প্রকল্প। ওয়াসার মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে মদুনাঘাট পানি শোধনাগার, রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল পানি শোধনাগার ও শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার অন্যতম। তাছাড়া সমগ্র বৃহত্তর চট্টগ্রামে সড়ক ও সেতু বিভাগ, সওজ, এলজিইআরডি ইত্যাদির মাধ্যমে সম্পাদিত, চলমান অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বদলে দিচ্ছে পুরো চট্টগ্রামকে। তাঁরই নির্দেশনায় চট্টগ্রামে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজন্যই আমি বার বার বলেছি, ‘শেখ হাসিনার অবদান, উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।’তারই ঐকান্তিকতায় চট্টগ্রাম আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা কখনোই থামবে না। বিশ্বকে চমকে দেয়া বাংলাদেশ দিয়েই শুরু করেছিলাম আমার এ লেখনী। সেদিক বিবেচনায় এ কথা না বললেই নয় যে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ২০০৯২০১৮ সময়কালে গড়ে ৬.৪৫ শতাংশ হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।

২০১৮১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এরপর করোনা মহামারী শুরু হলে থমকে দাঁড়ায় বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও বাংলাদেশ ২০১৯২০ অর্থ বছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। মহামারীর ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ ২০১৯২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ সময় মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৪৩ ডলার। ইউক্রেনরাশিয়ার যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞাপাল্টা নিষেধাজ্ঞায় আবারো বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে থাকলেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ভেঙে পড়তে দেয়নি।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রূপকল্প২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ‘রূপকল্প২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ প্রকাশিত ‘দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান’এর ‘এশিয়া’স শপার্স ইন ২০৩০’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যমতে বাংলাদেশের কনজিউমার মার্কেট যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যাবে।

এছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বর্ধিত জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নিয়ে অদম্য গতিতে চলতে চায় বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত বাঙালির যত অর্জন তা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছে গণতন্ত্র, উন্নয়ন আর অগ্রগতি। “তাই বাংলার মানুষ আজ হৃদয়ের গভীর থেকে বিশ্বাস করেশেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ”। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কোষাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ

পূর্ববর্তী নিবন্ধযোগাযোগের স্মার্ট রূপান্তর, বঙ্গবন্ধু টানেল ও শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত আইকনিক টাওয়ারসহ ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী