প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ, কাজ শেষ এক সপ্তাহের মধ্যে

পদ্মা সেতু

| শনিবার , ১১ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পদ্মা সেতুতে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘রেললিংক’এর প্রকল্প পরিদর্শন প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় জানান, এ ধরনের রেলপথ নির্মাণে খরচ বেশি হলেও এতে ট্রেন চলে দ্রুতগতিতে এবং ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। রক্ষণাবেক্ষণেও কোনো ব্যয় নেই। সেতুর দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টসহ এ রেলপথের দৈর্ঘ্য মোট ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, প্রকল্পটির অধীনে পদ্মা সেতুর অংশসহ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনটি ভাগে এ নির্মাণকাজ চলছে। এগুলো হলো ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে রয়েছে পদ্মা সেতু। খবর বিডিনিউজের।

প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র আরও জানান, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ। এখন সেতুর মাঝ বরাবরে ৫০০ মিটার রেললাইন নির্মাণকাজ চলছে। সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, সেতু থেকে জাজিরার পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ৪ কিলোমিটার ও সেতু থেকে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথ হচ্ছে পাথরবিহীন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানোর আশা করছেন বলে সঞ্জয় জানান।

সঞ্জয় চন্দ্র রায়ের ভাষ্য, বাংলাদেশে প্রথম নতুন প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে পদ্মা সেতুতে। এ ধরনের রেলপথে ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। সেতুতে যেন কোনো ঝাঁকুনি (জার্কিং) না হয়, তার জন্য পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

রেললিংকের এ প্রকল্পের পাথরবিহীন রেলপথের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, সেতুর স্প্যানের ওপর লোহার খাঁচা বানানো হয়েছে। তার ওপর রেলট্র্যাক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি রেলট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার। তাতে ৪২টি স্লিপার রয়েছে। রেলট্র্যাক ও স্লিপার কংক্রিট দিয়ে ঢালাই করে আটকে দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিজিটাল যুগে অ্যানালগ ট্রাফিক সিস্টেম
পরবর্তী নিবন্ধগুমাইবিলে সবুজের সমারোহ