জীবনে কীসের এতো প্রত্যাশা!
কীসের ভাবালুতায় আমরা
এগিয়ে চলি এর প্রান্তরের দিকে
যদিও জানি একদিন
ঐ প্রান্তর হবে বিরাণ,
শূন্যতা ডানা মেলে
করবে বিলাপ!
তবু আমরা বিমুগ্ধ হই
ঐ প্রান্তরের ফসল সুষমায়,
ঝোঁপে ঝোপে প্রজাপতির
সুধা অন্বেষায় ;
পুষ্পের মেলায় প্রজাপতি
খোঁজে তার সবটুকু সুধা,
জীবনের কাছে তার প্রত্যাশা
কি খুব বেশি?
আমাদের প্রত্যাশাগুলো
মিটিমিটি জ্বলা নক্ষত্রের মতো,
বয়ে চলা ঝিরঝিরে নদীটির
সাবলীলতার মতো যদি হতো —
থাকতো না কোন হতাশা ;
হতো না ছন্দপতন গভীর নিশীথে
কাওয়ালের সুর মূর্ছনায়।
সৌখিন বাঁশরিয়া,
আজ তোমার প্রাণহরা সুরের
স্নিগ্ধতা ঢালো নিসর্গে,
আমাদের কষ্টদগ্ধ অন্তরে
সেই অনেক আগের মতো!