প্রত্যাবাসন অনিশ্চয়তায় অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা : প্রধানমন্ত্রী

| বুধবার , ২৫ মে, ২০২২ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে ফেরার দীর্ঘ অনিশ্চয়তার কারণে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি গতকাল মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে, যার একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। এটা তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করছে। খবর বিডিনিউজের।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিকে তিনি বলেন, ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার গভীর বনভূমি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গাছ কাটার মাধ্যমে বনভূমি হ্রাস পেয়েছে, পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওই শরণার্থী শিবিরে প্রতি বছর যে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হচ্ছে, সে কথাও তুলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বৈঠকে শেখ হাসিনার আশঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, রাখাইন রাজ্যে যেমন আছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ও ভাষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম অনুসরণ করে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী ওই আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোর দিয়ে ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করতে তিনি বর্তমান মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তারা প্রত্যাবাসন শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগর পুলিশের কয়েকটি পদে রদবদল
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬