প্রতিহিংসা নয় সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা হওয়া চাই

মীর মোঃ আদনান সাকিব | রবিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

মানুষ সামাজিক জীব। এই সমাজে বসবাস করতে হলে সকলকে মিলেমিশে সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের নানা প্রয়োজনে গড়ে উঠে রাস্তাঘাট, সেতু, বহুতল স্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। যা আমরা চাইলেও সম্ভব না তবে, কেউ কেউ চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই কর্মকাণ্ডগুলোকে বৃহৎ পরিসরে রূপ দিতে কাজ করে যায় সরকার। তবে কে বা কারা সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, সেটি নির্ধারণ করবে সে দেশের সংবিধান। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলই আগামী ৫ বছরের জন্য সরকার গঠন করে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কয়েক ধাপে ভিন্ন ভিন্ন স্তরের নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মনমানসিকতা রাখা দরকার, তা না হলে সে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনাও বেশী। এই যেমন সারাদেশে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা মিলেছে রক্তাক্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। যা মোটেই কাম্য নয়।
যেখানে জনগণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, জনগণের কথা বলার জন্য সকলের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক প্রতিনিধি বেছে নিতে হবে সেখানে রক্তাক্ত কর্মকাণ্ড না করে ভালোবাসার মাধ্যমে সকলের মন জয় করাই শ্রেয়। কেননা, দিনশেষে আমরা যাদের সাথেই এই যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছি কাল বা পরশু আমার প্রয়োজনে তাকেই প্রয়োজন হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এই সমাজ, দেশ বা রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবো না। একে অন্যের প্রয়োজনে পাশে থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রাজনীতি যেহেতু জনগণের জন্য সেই জায়গায় প্রতিহিংসার বশবর্তী না হয়ে সকলের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতাই হতে পারে আগামির বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাথেয়। লেখক : শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিশোরবেলা
পরবর্তী নিবন্ধমা আমার