প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়ে উঠুক প্রকৃত অভিভাবক

দীপান্বিতা পালিত | বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

খুব আনন্দ পাই যখন দেখি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানের সফলতার জন্য তার অন্তর্ভুক্ত স্টাফদের নানাভাবে উৎসাহিত করেন। আসলে কি জানেন, ঈশ্বরের চেয়ে মানুষের শক্তি বেশি কেননা মানুষের মাঝেই তো ঈশ্বর। একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান মন থেকে চাইলে শুধুমাত্র মিষ্টতা দিয়ে ও ভালো কাজ আদায় করতে পারেন। আর, মাত্রাহীন কঠোরতা দিয়ে কাজের গতিও কমাতে পারেন। তবে প্রধানের মনে রাখা উচিত তিনি তখনি মাঠে জয়ী হন যখন টিমের বাকি সদস্যরা গোল দিতে পারেন। সদস্যদের গোল দেয়ার কারণেই কিন্তুু তিনি আলোকিত হতে পারেন। যাদের কারণে, কুল্ফিকে লেং মেরে নারিকেল আইসক্রিম বানিয়ে সফল হলেন তাদের প্রতি আচরণটাও তো সহমর্মিতামূলক হওয়া চাই। মানুষের মধ্যে মানবিকতা ও অমানবিকতা দুটো গুণ আছে। ফলে সে দেবতা এবং শয়তান দুটোই। আমরা দেবতা হতে না পারি, তবে শয়তান হবো কেন? বাতাসের অভাবে যেমন গাছের পাতা নড়েনা ঠিক তেমন উৎসাহের অভাবেও ভালো কাজ হয়না। তাইতো ভালো কাজগুলো দিন দিন কমে যাচ্ছে। একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের উচিত তার অমানবিক রূপের চেয়ে মানবিক রূপটাই ফুটিয়ে তোলা, এতেই সবার মঙ্গল। আমরা কম বেশি সবাই পরিবারে অভিভাবকের ভূমিকায় থাকি বা দেখে ধারণা লাভ করি, চেষ্টা করি পরিবারে সহমর্মিতা প্রীতি বজায় রাখার, তো যেটা পরিবারে চেষ্টা করি সেটা কর্মক্ষেত্র স্টাফদের ক্ষেত্রে বজায় রাখলে খুব কি ক্ষতি? আর একটা কথা , বাসায় বরের খবর কখনও কেয়ারটেকার এর কাছ থেকে নেয়া উচিত না, এতে করে বরেরও মান যায়, বউএরও মান বাড়েনা। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধানও এমন গোয়েন্দাগিরী করেন। সর্বশেষ কথা প্রতিষ্ঠান প্রধান ফোঁস ফোঁস করুক এতে দোষ নেই কারণ, প্রতিষ্ঠান প্রধানের চেয়ারটার জবাবদিহিতা অনেক। তবে ফোঁস ফোঁস এর অতি মাত্রার কারনে যাতে স্টাফদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি না হয়।এতে করে উভয়ের ক্ষতি।প্রতিস্টানের কাজও এগোয় না। আবার প্রধানের উপরও বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়। তার চেয়ে তেঁতুল পাতায় সব সুজন মিলে নিত্য নতুন কাজ উপহার দিই প্রতিষ্ঠানকে। এতে দেশেরও কল্যাণ এবং দশেরও ভালো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বস্ত পত্রিকা আজাদী
পরবর্তী নিবন্ধচাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হোক