প্রতিনিয়ত আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধনে আইজিপি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২১ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ‘জনগণের পুলিশ’ হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে। তিনি গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে মেট্রোপলিটন পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

আইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতায় আমরা দেশে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি।

আমরা ভালো কাজ করেছি, এজন্য আত্মতুষ্ঠিতে ভুগলে হবে না; আগামীতে আরো ভালো কাজ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, অসহায় মানুষ সেবা পেতে থানায় আসে। থানায় আসা মানুষ যেন তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পায় সেজন্য সকল পুলিশ সদস্যকে সচেষ্ট থাকতে হবে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তিনি পুলিশি সহায়তা পেতে ৯৯৯ এ কল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্‌বান জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাউজান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাঁশখালী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মহিলা সংসদ সদস্য খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ... নাছির উদ্দিন, ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজিব রঞ্জন।

৩২ টি ইভেন্টে এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা কনস্টেবলদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট, ইনস্পেক্টরদের ১০০ মিটার দৌড় এসি থেকে এডিসি পর্যন্ত ১০০ মিটার দৌড়, সিভিল স্টাফদের ১০০ মিটার দৌড়, উচ্চলাফ, দীর্ঘলাফ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্শা নিক্ষেপ, কনস্টেবল থেকে এস আই পর্যন্ত বালিশ যুদ্ধ, এলার্ম প্যারেড, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে উঠা, বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড়, মহিলাদের সুরের তালে তালে বালিশ চালনা ছিল উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিযোগিতায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ গ্রহন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির ৫৮ বন রক্ষা করছে পাড়াবাসী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা