প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাউজানে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

রাউজান প্রতিনিধি | সোমবার , ১০ মে, ২০২১ at ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

রাউজানের এক যুবলীগ নেতার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তাকে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তার নাম হাসান মুরাদ রাজু (৩৮) বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (১০ মে) স্থানীয় শিল্পী মহাজন নামে এক নারী রাউজান থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলার আসামী দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন। হাসান মুরাদ রাজু রাউজান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা গ্রামের আবুল কালামের পুত্র।
খবর নিয়ে জানা যায়, যুবলীগের এই নেতা সম্প্রতি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের বিশু মহাজনের স্ত্রী শিল্পী মহাজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ বিষয়টি বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের দিয়ে তদন্ত করা শুরু করেন।
তিনি তদন্তে নেমে এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডও উদ্ধার করেন। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে সাংসদ রাজুকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর আগে ভুক্তভোগী নারী রাজুর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় জনসাধারণ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের এই নেতা চাঁদাবাজি সহ ইয়াবা বিক্রিতেও জড়িত ছিল। তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয় সকলেই জানলেও তার দাপটে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি।
সর্বশেষ সাংসদ তার রিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ হাসান মুরাদ রাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাকায় করোনাভাইরাস!
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার