প্রকৃতির সাথে মন মাতাতে

গৌতম কানুনগো | শনিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কবি, লেখক, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকদের মিলনকেন্দ্র চট্টগ্রাম একাডেমি। চট্টগ্রাম একাডেমি ইতিহাস-ঐতিহ্য সংগ্রহ-সংরক্ষণসহ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে সচেতন ও উৎসাহিত করে চলেছে। গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে পটিয়ার বিটায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো একাডেমির বার্ষিক বনভোজন। সকালেই বিটার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রা শুরু।

বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রের চমৎকার নির্মাণ শৈলী, আকর্ষণীয় প্রধান ভবন, আন্তর্জাতিক ভবন, পাপেট হাউস, কনফারেন্স হল, বড় বড় পুকুর, চারিদিকে সুশোভিত গাছপালা, মাছাং ঘর, সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও দোলনা বিটার সৌন্দর্যকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। আয়োজনে ছিল সকাল ও বিকেলের নাস্তা, দুপুরের আহার।

চমৎকার মেনু উপস্থিত সকলেই খাবারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সকলের চারিদিকে ঘুরে বেড়ানো জমকালো আনন্দ আড্ডা, হৈ চৈ, একের পর এক ফটোসেশন, সকলেই আনন্দের মুহূর্তটুকু ক্যামেরায় বন্দী করে রাখতে ব্যস্ত। কেউ যেন কারো চেয়ে কম নয়। বিটার নয়নাভিরাম বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখা, দোলনায় দোল খাওয়া, বিতানের ক্যাসেট, গলা ছেড়ে গান গাওয়া, মাচাং ঘরে ছবি তোলা- এ যেন পরম আনন্দের।

অনেকে নেচে গেয়ে পুরো অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে রাখেন। অন্যরা করতালি দিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করেন। সেন্টারের কর্মকর্তা সুমন সেন এর চারিদিকে সজাগদৃষ্টি; তাঁর আন্তরিকতা কর্মতৎপরতা রান্না ও পরিবেশনা সকলের প্রশংসা অর্জন করেছে। মধ্যাহ্ন ভোজের পর অনুষ্ঠিত হলো আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র। এটি হল ভর্তি সকলেই দারুণ উপভোগ করেছেন। উপস্থিত সকলে পুরস্কার পেয়েছে কেউ খালি হাতে ফেরেনি।

একাডেমির মহা পরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। এরপর সকলের মাঝে উপস্থিত হলেন বিটার প্রাণ পুরুষ কবি শিশির দত্ত। তিনি উপস্থিত সকলকে বিটার বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং চট্টগ্রাম একাডেমিকে অভিনন্দন জানান। অত:পর সকলে যার যার নির্ধারিত গাড়ির আসনে বসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সে দিনের সারাদিনের আনন্দের সাক্ষী হয়ে থাকলো বিটা। উপস্থিত সকলের এ মধুর স্মৃতি ও আনন্দময় জীবনের কিছু অনুসঙ্গ অনেকদিন মনে থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান
পরবর্তী নিবন্ধবিচ্ছেদ নয়, ভালো থাক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা