পেঁয়াজের বাজার ফের অস্থির হওয়ার শঙ্কা

আমদানি অনুমতি বন্ধের জের

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ মে, ২০২১ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকার জেরে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। দেশের কৃষক বাঁচাতে সরকার পেঁয়াজের নতুন আইপি ইস্যু বন্ধ রাখে। পুরনো আইপির পেঁয়াজ চলে আসায় গত মাস থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। সরকার যদি নতুন করে আইপি অনুমোদন না দেয়, তবে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্ক্ষা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৭ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতে যেসব আইপি ছিল সবগুলোর পণ্যই চলে এসেছে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বর্তমানে বন্ধ আছে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প দেশ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে মিলবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। দেশী পেঁয়াজ দিয়ে সারাদেশের পেঁয়াজের চাহিদা মিটানো সম্ভব নয়। মূলত সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি ইস্যু না করার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে না। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের আমদানিকারকরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ আনছেন বলে জানতে পেরেছি।
এদিকে পাইকারিতে দাম বাড়ার প্রভাবে খুচরা বাজারে গত কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। কাজীর দেউড়ির হক ভান্ডার স্টোরের খুচরা বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকায়। দেশী পেঁয়াজের দাম দুই-তিন টাকা বেশি। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, আবার দাম কম হওয়ায় আপাতত আমরা ভারতীয় পেঁয়াজই বিক্রি করছি। তবে শুনেছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ রয়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে দুয়েক বস্তা পেঁয়াজ এনে বিক্রি করি। পাইকারিতে দাম কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দিই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক এমপি আউয়াল রিমান্ডে, আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা