আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের পাশাপাশি ৪ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ১১৬টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঈদে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন যাতে ইঞ্জিন সংকটে না পড়ে তার জন্য এই উদ্যোগ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন এবং কমার্শিয়াল বিভাগ থেকে জানা গেছে, এবার ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাহিদা মেটানোর জন্য পূর্বাঞ্চলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে ৪০টি এবং সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে ৪টিসহ মোট ৪৪টি মিটারগেজ কোচ মেরামত করা হচ্ছে। এসব কোচ প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে সংযোজন করা হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, এবারও ঈদযাত্রায় ৫ দিনব্যাপী প্রতিটি আন্তঃনগরে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। এজন্য পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে কোচগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে কারখানা থেকে কোচগুলো বের হবে। এছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও চাঁদপুর স্পেশালসহ বিভিন্ন রুটে ঈদ স্পেশাল চলাচল করবে।
এদিকে ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রা শুরু হবে বলে রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি ২টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে ৪ দিনব্যাপী। এছাড়া ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল এবং সিলেট–চাঁদপুর রুটেও চলাচল করবে। এসব রুটে মোট ৪টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলবে।
স্পেশাল ট্রেনগুলো হলো চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ৩ চট্টগ্রাম–চাঁদপুর–চট্টগ্রাম; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ২ ও ৪ চাঁদপুর–চট্টগ্রাম–চাঁদপুর; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ চট্টগ্রাম–ময়মনসিংহ–চট্টগ্রাম; ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ সিলেট–চাঁদপুর–সিলেট রুটে ঈদের আগে চার দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন চলাচল করবে।
প্রতি বছর ঈদযাত্রায় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিটি ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের ভিড় থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে ঈদের আগের ৫ দিন হিমশিম খেতে হয় রেল কর্মকর্তাদের। অধিক যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রতিটি ট্রেনে নিয়মিত কোচের পাশাপাশি অতিরিক্ত কোচ লাগানো হয়। এবারও সেই প্রস্তুতি আগেভাগে নেয়া হয়েছে বলে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
এদিকে ইঞ্জিন সংকটের কারণে প্রতি বছর ঈদযাত্রায় ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা কষ্টকর হয়। এবার ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য আগেভাগে প্রস্ততি নিয়েছে। একই সাথে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ১০২টি ইঞ্জিন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।