পাহাড়ে পর্যটনে সমৃদ্ধির আশা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় গত এক দশকে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাত বিকশিত হয়েছে। পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে আসছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে। তবে টেকসই পর্যটন গড়ে তুলতে কমিউনিটি ট্যুরিজমে জোর দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
পাহাড়, উপত্যকা, ঝিরি, অসংখ্যা ছোট বড় ঝরনা, আলুটিলা, রহস্যময় গুহাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে বৈচিত্র্যময় খাগড়াছড়ি। এক দশক আগেও এখানে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল হাতে গোনা। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য। আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, তৈদুছড়া, ঝুলন্ত ব্রিজ, শিলাছড়ি, মায়াবিনী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন পর্যটকরা। এছাড়া খাগড়াছড়ি হয়ে পর্যটকরা দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক যাচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন হওয়ায় ও পাহাড়ে সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় খুশি ভ্রমণ পিসাসুরা।
খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। খুব সহজেই চলাফেরা করা যায়। এছাড়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে সকলকে। তবে দুর্গম এলাকায় অবস্থিত ঝরনাগুলোতে যাতায়াতের সুবিধা তৈরি হয়নি। ফলে এসব ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না।
পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি বিকাশে এবং স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করে কমিউনিটি ট্যুরিজম গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল আলম বলেন, পর্যটনের উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এর সাথে সৃম্পক্ত করতে হবে। পর্যটনের লভ্যাংশ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও পেতে হবে। বিভিন্ন দেশে কমিউনিটি ট্যুরিজম বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশে তা এখনো চালু হয়নি। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে যুক্ত না করলে পর্যটনে সুফল পাওয়া যাবে না।
গত এক দশকে খাগড়াছড়িতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বাড়ায় পর্যটক সমাগম বেড়েছে। এতে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে। গড়ে উঠেছে হোটেল মোটেল। অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে পর্যটন কেন্দ্রের চলমান উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও পর্যটন অর্থনীতি আরো বিকশিত হবে বলে মনে করছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
তিনি বলেন, জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলার উন্নয়নে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণ শেষ হলে এখানকার পর্যটন অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধি হবে। পাহাড়ের অর্থনীতি পর্যটনকে কেন্দ্র করে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাড়ি-পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি, তরুণীদের গাউন
পরবর্তী নিবন্ধ৮ বিয়ে, বহু প্রতারণা কোটিপতি নীলা এবার জেলে