পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | শনিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

পাহাড়ের পাদদেশে গৃহ নির্মাণ একদিকে যেমন জীবনের ঝুঁকি অপরদিকে পরিবেশের জন্য ও বিপর্যয়কর। বিগত বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া নানা দুর্ঘটনাতেই এর প্রমাণ মিলে। সরেজমিনে দেখা গেছে পাহাড়ি অঞ্চল বেষ্টিত মীরসরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড়গুলোর ঝুঁকিপূর্ণ পাদদেশে ও ঢালুতে দিনে দিনে মানুষের বসবাস বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে করেরহাট, দুর্গাপুর, খৈয়াছরা, জোরারগঞ্জ, ওয়াহেদপুর অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বাড়ছেই।

মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাটখাগড়াছড়ি সড়কে ও কয়েকবার পাহাড় ধসে মারা গিয়েছিল কয়েকজন করে। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনার পরও এখনো মীরসরাইয়ের কিছু অঞ্চলে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঢালুতে বসবাস করছে নারী শিশুসহ নানা পরিবার। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করতে দেখা যায় করেরহাট, পূর্ব দুর্গাপুর, সোনাপাহাড় ও খৈয়াছরা এলাকার কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায়। করেরহাটের কয়লা এলাকায় অনেকেই ‘আপাতত একটি অস্থায়ী ঘর করছি পরে নাইলে সরে যাব’ এমনটা বলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই পাহাড়ের ঢালু কেটে ঘর বানিয়ে নিচ্ছে। আস্তে আস্তে এবার পুরো পাহাড় কেটেই উঠোন আর ঘর বাড়িয়ে নিচ্ছে। একই চিত্র গড়িয়াইশ, দুর্গাপুর, সোনাপাহাড়, ওয়াহেদপুর এলাকায়ও।

করেরহাট এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এলাকায় পাহাড়ি এলাকায় অনেক উপজাতিদের আদি বসবাস। কিছু বাঙালিকে ও এখন পাহাড়ি জনপদে বসবাস করতে দেখা যায়। তবে বিভিন্ন সময় ভয়াবহ দুর্যোগ দেখে আমরা খুবই আতংকিত। আমরা বার বার তাদের সতর্ক করে আসছি, কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না থাকায় কঠোর উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। এরপরও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তামূলক বাসস্থানের বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, মীরসরাইয়ের সকল চেয়ারম্যানকে বর্ষার পূর্বে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হবে। আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় এই বিষয়ে সতর্কতাসহ উচ্ছেদ অভিযানের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে জনপ্রতিনিধিগণের মাধ্যমে এই বিষয়ে স্থায়ী উদ্যোগ অথবা উচ্ছেদ অভিযান করা হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল নয়, বই তুলে দিন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবাসী বন্ধুর পাঠানো স্বর্ণ হজম করতে পারলেন না সাইমন