পানিতে ডুবে দুই মৃত্যু

ফটিকছড়ি ও বাঁশখালী

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ২ জুলাই, ২০২২ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ি ও বাঁশখালী উপজেলায় পানিতে ডুবে এক কিশোর ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, ধরুং খালে গোসলে নেমে নিখোঁজের প্রায় ৫ ঘণ্টা পর মো. কাউসার (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার বিবিরহাট ধরুং ব্রিজের পূর্ব পাশে খালে নিখোঁজ হয় কাউসার। সে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড হাজী সিরাজুল হক মিস্ত্রী বাড়ির মো. খালেদের ছেলে এবং ফটিকছড়ি জামিউল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ বলেন, আমি গোসল করতে আসলে দেখি সে পানিতে ভাসমান বাঁশের চালির উপর বসা। পরে আমি যখন পানিতে নেমেছি তখন দেখি কাউসার হঠাৎ করে লাফ দিয়ে ডুবে যাচ্ছিল এবং হাত উপরে তুলে নাড়াচ্ছে। আমি ধরতে চেষ্টা করে পারিনি। পরে একটু দূরে গিয়ে পুরোটা ডুবে যায়।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা দুপুর একটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযান শুরু করি। আমাদের ডুবুরি ব্যবস্থা না থাকায় আমরা আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরি দল আসতে বলি। তিনটার দিকে ৪ সদস্যের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে নিখোঁজ স্থান থেকে ওই ছেলেটিকে মৃত অবস্থা উদ্ধার করি।

বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গুনাগরী কাজিম চৌধুরী মসজিদের পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন (১০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মাঈনুদ্দিন পূর্ব গুনাগরী সাহেবমিঞা চৌধুরীর কাটা (নতুনপাড়া) এলাকার সৈয়দ আহমদের পুত্র। জানা যায়, মাঈনুদ্দিন গতকাল সকাল ১০টার দিকে কাজিম চৌধুরী মসজিদ পুকুরের গোসল করতে এসে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা পরে মাঈনুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় পূর্ব গুনাগরী সাহেব মিঞা কাজিম চৌধুরী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাতির বিরুদ্ধে জিডি
পরবর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক খালেদ ছিলেন আলোকবর্তিকা