পাঠককে ভেতরে রেখেই ফটকে তালা, ৯৯৯-এ ফোনের পর উদ্ধার

চসিকের পাবলিক লাইব্রেরি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

বই পড়তে আসা এক পাঠককে ভেতরে রেখেই প্রধান ফটক বন্ধ করে চলে যায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরির দায়িত্বরতরা। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটকে পড়া পাঠক মোহাম্মদ একরাম পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমি শৌচাগারে গিয়েছিলাম। শৌচাগার থেকে এসে দেখি প্রধান ফটক বন্ধ। বাইরে থেকে তালা দিয়ে সবাই চলে গেছে। অনেক ধাক্কাধাক্কির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিই। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হতে প্রায় আধঘণ্টা লেগেছে।

তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকে লাইব্রেরিতে পড়তে যাই। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। এখানে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের গাফেলতি ছিল। তালা মারার আগে কেউ আছে কিনা ভালোভাবে চেক করা দরকার ছিল। লাইব্রেরির কারো নম্বর না থাকায় ৯৯৯ কল দিলাম। লাইব্রেরির সহকারী গ্রন্থাগারিক সৈয়দা পারভীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, শৌচাগারটি পাঠকক্ষের বাইরে। লোকটি পাঠকক্ষ থেকে বের হয়ে চলে যান। পরে কোন ফাঁকে তিনি শৌচাগারে যান তা কেউ খেয়াল করেনি। তবে শৌচাগারটি লাইব্রেরি কম্পাউন্ডের ভেতর। তাই প্রধান ফটক বন্ধ করায় তিনি আটকে যান।

সৈয়দা পারভীন বলেন, লোকটি পুলিশকেও জানিয়েছেন ৬টার সময় তিনি লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে একদম নিচে চলে যান। পরে কন্ট্রোল করতে না পেরে শৌচাগারে যান। আসলে লোকটি বের হওয়ার সময় লাইব্রেরিতে কর্মরত সবাই দেখেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দরজা বন্ধ করার সময় কেউ নাই মনে করে।

উদ্ধার করতে আসা কোতোয়ালি থানার এসআই সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিতে এক ব্যক্তি আটকা পড়ার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ফটক বন্ধ পেয়ে গ্রন্থাগারের কর্মকর্তাকে ফোন করে চাবি নিয়ে এসে ফটক খুলে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ থেকে করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ
পরবর্তী নিবন্ধজঙ্গি দমন ও জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশের সাফল্য ঈর্ষণীয় : আইজিপি