পাখির একটি পালকের দামই ৩৩ লাখের বেশি!

| বৃহস্পতিবার , ২৩ মে, ২০২৪ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে বিলুপ্ত নিউ জিল্যান্ডের হুইয়া পাখির একটি পালক নিলামে ২৮ হাজার ৪১৭ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৮১৬ টাকা! ওয়েবস অকশন হাউজে গত সোমবার হুইয়া পাখির ওই পালকটি বিক্রি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল পালকটি সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে। খবর বিডিনিউজের।

নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী মাওরি সমপ্রদায়ের কাছে হুইয়া পাখি অত্যন্ত পবিত্র এবং আভিজাত্য প্রকাশের অনুসঙ্গ ছিল। একসময় মাওরি গোত্র প্রধান এবং তার পরিবারের সদস্যদের মাথার মুকুটে হুইয়া পাখির পালক শোভা পেত। পাখির পালক উপহার হিসেবেও জনপ্রিয় ছিল এবং পালক বিক্রিও করা হত। মিউজিয়াম অব নিউ জিল্যান্ড থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯০৭ সালে সর্বশেষ হুইয়া পাখি দেখা যায়।

তার ২০৩০ বছর পরও এই পাখি দেখতে পাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সেগুলোর কোনোটির বেলাতেই নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিউ জিল্যান্ডের ওয়াটলবার্ড প্রজাতির ছোট্ট পাখি ছিল হুইয়া। চমৎকার গান করত এই পাখি, শরীরে পালকের বেশির ভাগই কালো, লম্বা লেজের শেষপ্রান্ত সাদা।

সোমবার বিক্রি হওয়া পালকটি খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়েবস অকশন হাউজের ডেকোরেটিভ আর্টস বিভাগের প্রধান লিয়াহ মরিস। পালকটি ইউভি সুরক্ষিত কাঁচের বঙের ভেতর রাখা। তাই সেটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকবে। পালকটি টাওঙ্গা টুটুরু ব্যবস্থার অধিনে নিবন্ধিত। মাওরি জাতিগোষ্ঠীর তৈরি বস্তুর সুরক্ষায় এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার আওতায় যাদের কাছে মাওরি বস্তু সংগ্রহের লাইসেন্স আছে কেবল তারা এ ধরণের নিলামে অংশ নেওয়ার অনুমতি পায়।

নিউ জিল্যান্ডের মিনিস্ট্রি অব কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ এর অনুমতি ছাড়া এ ধরণের বস্তু দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায় না। পালকটির চমৎকার অবস্থা, আর্কাইভের জন্য ব্যবহার করা কাগজ ও ইউভি গ্লাসের মাধ্যমে এটি সংরক্ষণ করা এবং হুইয়া পাখির গল্প্তএসবই নিলামে পালকটির দাম উঠতে সহায়তা করেছে বলে মনে করেন লিয়াহ মরিস।

অতীতে নিউ জিল্যান্ডে যখন ইউরোপীয়রা আসতে শুরু করে তখনই হুইয়া পাখি বিরল ছিল। সে সময় নিউ জিল্যান্ডে আসা ব্যক্তিদের কাছে এই পাখি ও তাদের পালক দারুণ আকাঙ্ক্ষিত বস্তু হয়ে ওঠে। যে কারণে পাখিটি সংগ্রাহক এবং ফ্যাশন ব্যবসায়ীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তাদের সেই চাহিদাই পাখিটিকে বিলুপ্তির পথে ধাবিত করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কেটে ফেলা হল ২৫টি গাছ
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যে হঠাৎ ‘আগাম’ নির্বাচনের ঘোষণা