পাইকারিতে নিম্নমুখী প্রভাব নেই খুচরায়

ভোগ্যপণ্যের বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দেশের বাজারে জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দীর্ঘদিন ধরে চাঙা ছিল ভোগ্যপণ্যের বাজার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে প্রায় সবধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া ডলারের দাম বাড়ায় বাড়ে আমদানি ব্যয়। তাই ভোগ্যপণ্যের বাজার চাঙা ছিল। তবে বর্তমানে পাইকারিতে ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কারণে দাম কমছে। এদিকে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোনো ধরনের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মশুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকায়। এছাড়া মটর ডালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, সাদা মটরের দাম ৪ টাকা কমে ৫৫ টাকা এবং মুগ ডালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকায়। অন্যদিকে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। এছাড়া এলাচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ৭০ টাকা কমে ১ হাজার ১০০ টাকা, জিরা ৩৫ টাকা কমে ৪৬৫ টাকা, দারুচিনি ৫০ টাকা কমে ২৯৫ টাকা, চীনা রসুন ৩ টাকা কমে ৮৭ টাকা, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা এবং হলুদ কেজিতে ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১৬ টাকায়। অপরদিকে পাম তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি ৫০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা এবং মণপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৬০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৯০০ টাকায়। তবে বেড়েছে আদা ও মরিচের দাম। বর্তমানে আদার দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং মরিচের কেজি ১১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪১০ টাকায়।
জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে ভোগ্যপণ্যের বাজার নিম্নমুখী। বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হয়েছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম পড়তির দিকে। এছাড়া বেচাবিক্রিও কমে গেছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভোগ্যপণ্যের বাজার পাইকারিতে নিম্নমুখী হলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে। তাই পাইকারিতে দাম কমার সরাসরি সুফল সাধারণ ভোক্তারা পান না। কিন্তু দেখা যায়, কোনো পণ্য পাইকারিতে দাম বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীরা সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেন। তাই প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার করতে হবে। যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব
পরবর্তী নিবন্ধশুধু ভুলত্রুটি নয়, জাতির অর্জনের চিত্র সঠিকভাবে প্রকাশ গণমাধ্যমের দায়িত্ব : তথ্যমন্ত্রী