পাইকারিতে কমছে তেল চিনি ও গমের বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

অনেক দিন ধরে অস্থির ভোগ্যপণ্যের বাজার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল ভোজ্যতেল ও চিনি। এর সাথে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয় গমের বাজার। এই তিনটি পণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রক্রিয়াজাত সকল ধরণের বেকারিপণ্যের দামও বেড়ে যায়। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে ভোজ্যতেল-চিনি ও গমের বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের দেশে প্রায় ভোগ্যপণ্য আমদানি নির্ভর। আমদানি নির্ভরতার কারণে দামও আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক বাজার কমে গেলে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দেশে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় তেল-চিনি ও গমের বাজার কমতে শুরু করেছে।
গতকাল খাতুনগঞ্জের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে আগে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ১৫০ টাকায়, বর্তমানে প্রতি মণে ১৫০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ টাকায়। এছাড়া সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের শুরুতে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৪৫০ টাকায়, বর্তমানে ১০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৩৫০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় গম গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৪০ টাকায়, বর্তমানে ৩০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১১০ টাকায়। এছাড়া গত সপ্তাহে চিনি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬৯০ টাকায়, বর্তমানে ২০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৭০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের দেশে পাম তেল আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই দুই দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। এখনো উঠানামার মধ্যেই আছে বাজার। অন্যদিকে সয়াবিন তেলের বাজারও একই অবস্থা ছিল। তবে আশার কথা হলো- গত এক সপ্তাহে পণ্য দুটির বাজার কমছে। এছাড়া গম ও চিনির বাজারও নিম্নমুখী।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলেও চাক্তাই খাতুনগঞ্জে তেল-চিনি এবং গমের বাজার নিম্নমুখী। ভোগ্যপণ্যের বাজারের দর কখনো এক রকম থাকে না। এই বাজার করো পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব না। সিন্ডিকেট কারসাজির যেসব অভিযোগ করা হয়, সেগুলো আসলে ঠিক না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে। আমদানি মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের তফাৎটা বের করে প্রশাসনকে বাজার নজরদারি করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে প্রথমদিন টিকা পেল ৩৬০ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী
পরবর্তী নিবন্ধমাসে দেড় হাজার ‘চায়না ফরম’ সরবরাহের আশ্বাস দূতাবাসের