পশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই

স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

কোরবানি পশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) গৃহীত প্রস্তুতি এবং কার্যক্রম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি এবং নজরদারির ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। গতকাল জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদুল আজহাকে ঘিরে দ্বিতীয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্ত হয়ে চসিক মেয়র নিজেদের প্রস্তুতি তুলে ধরেন। মেয়র বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি জনিত পরিস্থিতিতে নগরীতে আসন্ন ঈদুল আযহা নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপন এবং পালনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। নগরের ছয়টি পশুর হাটে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যাতে লঙ্খিত না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন ক্রেতার সাথে অতিরিক্ত কেউ বাজারে না যাওয়ার সরকারি নির্দেশনা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ একজনের পক্ষে বাজার থেকে কেনা পশু নিজ গন্তব্যে নেয়া অসম্ভব। তাই বাস্তবতা অনুযায়ী বাজার থেকে পশু কিনতে দুইজনকে সাথে থাকার বিধান যুক্তিসঙ্গত হবে।
মেয়র বলেন, পশুর হাটে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে শরীর জীবাণুমুক্তকরণ, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে চসিকের সার্বক্ষণিক তদারকি ও পর্যবেক্ষণ চলমান থাকবে। নির্ধারিত ছয়টি বাজারের বাইরে অন্য কোনো বাজার বসতে দেয়া হবে না।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মেয়র বলেন, নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন, প্রকৌশল ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। ঈদের দিন পশু জবাইয়ের পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বা রাত ১০টার মধ্যে সব ধরনের বর্জ্য অপসারণ করে নির্ধারিত দুটি ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে ডাম্পিং করা হবে। বর্জ্য পরিবহনের জন্য ২০০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ভাড়ায় বাড়তি পরিবহন যুক্ত করা হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত জনবলের অতিরিক্ত বেতন-ভাতা, পরিবহন ও খাওয়া বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দও রাখা হয়েছে। এছাড়া ২টি ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে কোরবানির পশু বর্জ্য ধারণের স্থান সমান ও যান চলাচলের পথগুলো পরিবহন উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ছাড়া যেখানে-সেখানে পশু জবাই করা যাবে না। কোরবানির পরপরই বর্জ্য নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে এবং জায়গাটিকে সাথে সাথেই ধুয়ে মুছে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, গত বছর কোরবানি পশু চামড়ার বেচা-কেনায় মন্দা ছিল। এতে যেখানে-সেখানে চমড়া পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। করোনাকালে এই পরিস্থিতি যেন না হয় সেজন্য ট্যানারি কর্তৃপক্ষ যদি চান কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য নগরে কয়েকটি স্থানে চসিক স্পট নির্ধারিত করে দেবে। সেখানে তারা ঝামেলা এড়িয়ে সহজে যাতে চামড়া সংগ্রহ করতে পরে চসিক সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভাঙচুর
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে কাল থেকে চলবে ১২ জোড়া ট্রেন