পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ভাঙচুর

জেলা প্রশাসনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় ভূমিহীনদের প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সেই ঘরগুলোতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ঘরগুলোতে লাগানো মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত নামফলকও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পটিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া হাইগাঁও পাহাড়ি এলাকার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জন্য নির্মিত এসব ঘর পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এসময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, আরডিসি সুজন চন্দ্র রায়, এনসিডি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব হোসেন, পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা। এসময় জেলা প্রশাসক পটিয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষত আশ্রয়ণের ঘরগুলো পরিদর্শন করে ১৫-২০ জনের একটি কমিটি গঠন ও নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিশ্বের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। ঘরগুলো তৈরিতে কোন অনিয়ম হয়নি। চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘর অত্যন্ত মজবুতভাবে করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে পটিয়া এলাকায় ২৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানকার উপকারভোগীরা অবকাঠামোসহ যাবতীয় সকল সুবিধার আওতায় এসেছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান মঙ্গলবার রাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, পটিয়াতে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোতে হামলা ভাংচুর হয়েছে। দুর্বৃত্তরা আশ্রয়নের ঘরগুলোর ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে দিয়েছে। জানালাগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। কতগুলো বাথরুমের স্লাব ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নামে লাগানো ৭৩টি ঘরের নামফলক তুলে ফেলা হয়েছে। এজন্য আমরা পটিয়া থানায় মামলা করেছি। একটি জিডিও করেছি। ওই স্থানে যারা কাজ করছেন তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে যারা দেখতে পারছেন না, যেসব ভূমিদস্যু একসময়ে এসব জায়গা দখল করে খেতো, তারাই মূলত এসব ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা ওইখানে কমিটি করে দিয়েছি। পাহারা বসানোর ব্যবস্থা করেছি। যারা উপকারভোগী তাদেরকে বলেছি, ঘরগুলো অসম্পূর্ণ থাকলেও যাতে তারা উঠে যায়। তাদের দুই শতাংশ জায়গাসহ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো এখনো অসম্পূর্ণ সেগুলো তৈরি হতে আর ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ওইখানে ২৩০টি ঘরের মধ্যে ২০০টি হস্তান্তর করা হয়েছে। এখানে একটি আলাদা গ্রাম হয়ে গেছে। আমরা রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি। গভীন নলকূপ বসিয়ে দিয়েছি। সরকারি অর্থে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দিচ্ছি। ওখানে আমরা স্কুল করে দিব। কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে দিব।’
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘হাইদগাঁও পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোতে ভাংচুরের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা এটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) আকারে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধগার্মেন্টস শ্রমিকদের শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় আনুন
পরবর্তী নিবন্ধপশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই