পর্যবেক্ষণে গড়ে ওঠে সভ্যতার ইতিহাস

‘কালীপুর/ইজ্জতনগর সমৃদ্ধ অতীত’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রফেসর আলমগীর সিরাজ ।। জানতে হবে, জানাতে হবে, নইলে সমাজ এগুবে না : এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ

মানুষের ইতিহাস, সভ্যতার ইতিহাস গড়ে ওঠে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। সময়ের স্রোতে এগিয়ে থাকা ইতিহাস। একটি আঞ্চলিক ইতিহাস আমাদের সমৃদ্ধির ইতিহাস। গতকাল ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে খড়িমাটি থেকে প্রকাশিত অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী রচিত ‘কালীপুর/ইজ্জতনগর সমৃদ্ধ অতীত’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জাতীয় অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ইতিহাসের পর্যায় থেকে ইতিহাসবিদরাই ইতিহাসের সুশৃঙ্খল কথা লিখে থাকেন; যারা পেশাদার লেখক। কিন্তু ‘কালীপুর/ইজ্জতনগর সমৃদ্ধ অতীত’ বইটি লেখকের সফল রচনা। এ এক অনন্য উদাহরণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, লেখকদের লেখা থেকেই চিন্তা করতে পারি, ভাবতে পারি। সমাজকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে কারো প্রতি কোনো অবিচার করা না হয়। তিনি বলেন, মানুষের বিবেক সবচেয়ে বড় আদালত। লেখক একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। যে গ্রামে তিনি বেড়ে উঠেছেন, সেই গ্রামের ইতিহাস অন্যদের জানার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি এ গ্রন্থের মাধ্যমে। এটাই একজন মানুষের কর্তব্য। জানতে হবে, জানাতে হবে, নইলে সমাজ এগুবে না। আমরা প্রতিনিয়ত এত বেশি ব্যস্ততার মধ্যে থাকি যে লেখার সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর মতো মানুষেরা দায়বোধ থেকে এমন একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যাতে তার গ্রামটির ইতিহাস সংরক্ষিত থাকে। আমাদের প্রত্যেকের নিজ গ্রামকে মনে রাখা উচিত। গ্রামের মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা উচিত। মানুষ পারে না এমন কিছু নেই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল উদ্যোগে ক্যান্সার ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার জন্য তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি, যেকোনো ভালো কাজে মানুষ এগিয়ে আসে। উদ্যোগ নেওয়াটাই জরুরি।
প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলামিস্ট আহমদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই বইটি আরো বিস্তারিত হতে পারে, শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দেয়া যায়। মনীষীদের জীবনী লিখে দিলেই আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। একটি অসাধারণ সমাজ ও পরিবারের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হলো।
সভাপতির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমি লেখককে আইনজীবীরূপে যে অভিজ্ঞতার কথা লিখতে বলেছি, হয়তো তিনি তা লিখবেন। কিন্তু এই বই লেখার পর তিনি যখন আমাকে দেখালেন; বললাম, বই হোক। আজ এই বই আমাদের পরম ভালোবাসার।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি আমার পেশার বাইরে গিয়ে কোনো বই লিখবো কল্পনাও করিনি। কিন্তু লকডাউনে এসে আমার গ্রাম ও পরিবারের কথা লিখে ফেললাম। অনেকটা অবচেতনে। দেখি একটি ইতিহাস ও কথা সংমিশ্রণ। অনেকটা দলিলের মতো।
অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরীর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন খড়িমাটি প্রকাশক মনিরুল মনির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅসুস্থ হয়ে মারা গেলে সরকারের কেন দোষ হবে : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা