পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থী অসুস্থ, হাসপাতাল থেকে আসার পর সময় শেষ

চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র

চকরিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ১ মে, ২০২৩ at ৯:২২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন গতকাল পৌরশহরের চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে মাহমুদুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী। সে চকরিয়ার কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থী। তার রোল নং ৫৪৫৪৭৫। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থবোধ করলে ফের কেন্দ্র যায় সে। কিন্তু ততক্ষণে (দুপুর ১টা ৬ মিনিট) পরীক্ষার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় আর বসতে পারেনি পরীক্ষার টেবিলে। এতে ওই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ফলাফল নিয়ে হতাশ তার অভিভাবক। গতকাল ছিল বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা। শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানের বাবা আবদুল মান্নান বলেন, আমার ছেলেকে যখন কেন্দ্রে নিয়ে যাই তখন সেখানে দেখতে পাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বেঞ্চগুলো জরাজীর্ণ ও ময়লাযুক্ত। সেখানে সুস্থ কেউ পরীক্ষা দিতে বসলে অসুস্থ হয়ে যাবে। তার ওপর পর্যাপ্ত ফ্যান না থাকায় অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে নিচে পড়ে যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র সচিব গোলাম মোস্তফা ও কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হায়দারের সহায়তায় আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসার পর সুস্থবোধ করলে দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে কেন্দ্রে গেলেও আর পরীক্ষার টেবিলে বসতে পারেনি সে। আমি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হায়দার আজাদীকে বলেন, তার বিদ্যালয়ের তিন বিভাগের নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে ২১২ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ২০১ নম্বর কক্ষে থাকা শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান পরীক্ষা শুরুর পর মাত্র দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে পেরেছিল। সাড়ে ১১টার দিকে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে সে নিচে পড়ে যায়। চিকিৎসা শেষে দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে ফের কেন্দ্রে গেলেও ততক্ষণে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তার ফলাফল নিয়ে আমরা চিন্তিত।

চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব গোলাম মোস্তফা দাবি করেন, কেন্দ্রের ২৮টি কক্ষে (গ্রামার স্কুলসহ) পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দুএকটি ফ্যান অচল ছিল। কোথাও নোংরা পরিবেশ ছিল না। প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে জানান তিনি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান আজাদীকে বলেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার মাঝপথে অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি অবগত হয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের ছোটখাটো যেসব সমস্যা রয়েছে তা আগামী পরীক্ষার আগেই সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নীতিগ্রস্তদের কাছে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেবেন না : বিচারক
পরবর্তী নিবন্ধ‘ডাকাত’ বলে সামশু মাঝির ট্রলারে হামলা করে ওরা