পরাধীন আমলের অমানবিক ‘ডাণ্ডাবেড়ী’ সংস্কৃতির অবসান চাই

| বুধবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

পরাধীন আমলে অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসকদের করা ১৮৯৪ সালের প্রিজন অ্যাক্ট ও ১৮১৮ সালের ৩ নং রেগুলেশনের জেল কোডের ভিত্তিতে কারাগারে যে কাউকে ডাণ্ডাবেড়ী পড়ানো যেতে পারে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৩) অনুচ্ছেদে আছে নিরপেক্ষ আদালত কর্তৃক প্রকাশ্য বিচার ব্যতিত কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে-কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণাময়, নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না। এমনকি শারীরিক ক্ষতিসাধন সংবিধানের ৩১ ধারার লঙ্ঘন।

সাম্প্রতিক সময়ে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মায়ের জানাজায় ডাণ্ডাবেড়ী পরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারাগার থেকে প্যারালালে মুক্তি পাওয়া কারো স্বজনদের জানাজা বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ডাণ্ডাবেড়ী দিয়ে নিয়ে যাওয়া শুধু অমানবিকও নই সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল। এটা স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান ও একজন নাগরিকের মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন। আমরা পরাধীন আমলের অমানবিক ‘ডাণ্ডাবেড়ী’ সংস্কৃতির অবসান চাই।

আবদুর রহিম
মতিয়ারপোল,
কমার্স কলেজ রোড, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআখতারুজ্জামান ইলিয়াস : সমাজবাস্তবতার রূপকার
পরবর্তী নিবন্ধআসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই