মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে ব্যথিত ও বিস্মিত হলেও ওবায়দুল কাদেরের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রতিক্রিয়া জানান রানা দাশগুপ্ত। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে আগামী ১২ নভেম্বর বিকাল ৪টায় দেশব্যাপী ধিক্কার মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ওইদিন এ কর্মসূচি পালিত হবে ঢাকার শাহবাগ ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে। এবার দুর্গাপূজা চলাকালে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সপ্তাহখানেক আগে একটি বিবৃতি দেন। এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন বিষয়ক বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয় ঐক্য পরিষদের নেতাদের মধ্যে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির সমালোচনা করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি আমাদের ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। সামগ্রিক ঘটনাকে লঘু করে দেখাবার তার প্রবণতা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষুন্ন করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, সম্প্রতি দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় কেউ ধর্ষিত হয়নি। একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ কিংবা ধ্বংস করা হয়নি। ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ছয় জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে চার জন মুসলমান। হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হন। দুজন হিন্দু মারা যান যাদের মধ্যে একজনের সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, গত ২ নভেম্বর তার ভার্চ্যুয়াল ভাষণে সত্য কথা তুলে ধরার জন্যে আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের রক্ষায় শুধু কথাই নয় কাজের মধ্য দিয়ে তা দৃশ্যমান করা আজ যথার্থ অর্থেই প্রয়োজন।