পরম বন্ধু দৈনিক আজাদী

মৃণালিনী চক্রবর্তী | মঙ্গলবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

আমার বুদ্ধি, জ্ঞান বিকাশের সময় ঘিরে আমার হাতে প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী। তখনকার সময় এখনকার মতো এতো পত্রিকা ছিল না। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদ হাতে তুলে দিতো বাবা। বাবা বলতো এই পত্রিকার ভিতর যা আছে পড়ো। এটাও হোক প্রতিদিনের পাঠ্যসূচী। এখান থেকে নানা লেখার মধ্য দিয়ে বর্তমান অতীত ভবিষ্যৎ অনেক কিছু জানতে পারবে। আমি অবাক হতাম আমার মা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়তো। রাতের খাবারের পর মা বাবা সবাই বসে আজকের খবরের মজা, হতাশ, বিস্ময়, উন্নয়ন, যুদ্ধ, কষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা হতো। এটা পারিবারিক বৈশিষ্ট্য ছিল। সত্যিই অনেক জানা হতো। আজো এই রেওয়াজ আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে। আমার সংগীতে ঝোঁক ছিল বলে। নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল বলে। আমার লিখার উদ্দীপনা তাদের অণুপ্রেরণায় আরও উৎসাহ সাহস মাত্রা পেলো। বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় দাদামণি সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত, শ্রদ্ধেয় ওবায়দুল হক, শ্রদ্ধেয় বিমলেন্দু বড়ুয়া প্রমুখ শুধু লেখা চাইতেন। মহিলা মহফিল দৈনিক আজাদীর ঐ পৃষ্ঠায় আমরা কজন নারী লেখিকা সবসময় লিখতাম। বিশেষ করে রম্যসাহিত্যিক ফাহমিদা আমিন, বেগম মুশতারী শফী, দীপালী ভট্টাচার্য, বেগম রুনু সিদ্দিকী, মৃণালিনী চক্রবর্তী, অধ্যক্ষ নীলুফার জহুর, এডভোকেট ফেরদৌস কবীর, অধ্যাপক আনোয়ারা আলম, অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম। তাছাড়া পরবর্তীতে সাহিত্যের পাতা, আগামীদের আসরেও তাদের পথযাত্রা শুরু হয়। ‘আগামীদের আসর’ থেকে দৈনিক আজাদী প্রেসক্লাবে একবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খুব সম্ভবত ৭৭/৭৮ এর সময়গুলোতে। ওখানে আমি শ্রদ্ধেয় খালেক সাহেবের হাত থেকে পল্লীগীতিতে ১ম পুরস্কার গ্রহণ করি। আরও অন্যান্য বিষয় ছিল। তবে এই ইভেন্ট কে উনি সর্বোচ্চ মর্যাদা দিলেন। আমিও খুব আনন্দ পেলাম প্রশংসায় এবং পরিচিত হয়ে। আজ আমাকে লেখকদের পাটাতনে বসার জায়গাটা তৈরি করে দিয়েছে পরম সুহৃদ, পরম বন্ধু দৈনিক আজাদী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধআজাদীর প্রতি অফুরান ভালোবাসা শ্রদ্ধা