পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

আবদুল্লাহ আল ফয়সাল | বুধবার , ২০ অক্টোবর, ২০২১ at ৮:০১ পূর্বাহ্ণ

৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় মানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর এই পৃথিবীতে শুভাগমনের আনন্দকে ’ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ বলা হয়। যাঁর নূরের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল।
তাঁর ওপরই নাজিল হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। তিনি এসেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়তের আলো হয়ে। হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘‘তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন হযরত আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরও জানাচ্ছি যে, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হযরত ঈসা (আ.)- এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা আমেনার স্বপ্ন’। নবীদের মায়ের এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রাসূল (সা.) এর মা তাঁকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল।
তিরমিজি শরীফের ২য় খণ্ডের ২০৩ পৃষ্ঠায় ‘মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ নামে একটি অধ্যায় রয়েছে। সাহাবীরাও মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছেন।
আসুন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আমরা পবিত্র আল কোরআন তিলাওয়াত করি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ও সুন্নাতের আলোচনা অনুসরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে রাসূলের পথে পরিচালিত করি, বিশ্বের বুক থেকে সব অনাচার-পাপাচার বিদূরিত হয়ে প্রিয় নবীর আগমনের অসিলায় আসুক শান্তির সুবাস। মহান আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাষা সৈনিক অলি আহাদ
পরবর্তী নিবন্ধমহানবী (সা.) ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার অগ্রনায়ক