পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত

মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা গত বুধবার যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। ত্যাগের মহিমাকে ধারণ করে নামাজ শেষে এদিন চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পশু কোরবানি দিয়েছেন সামার্থ্যবান মুসলমানরা। এর মাধ্যমে পরম করুণাময়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছেন তারা। একইসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামীনের নির্দেশনা মেনে দরিদ্র ও কোরবানি করতে অক্ষম লোকদের মাঝে জবাইকৃত পশুর মাংস বিলি করে সৃষ্টি করেছেন সমতা ও ভ্রাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরর (চসিক) ব্যবস্থাপনায় এবার চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৭টা ও ৮টায় দুইটি ঈদ জামাত হয়েছে। প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী। এছাড়া আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদেও সকাল ৭টা ও ৮টায় পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শহরের অন্যান্য স্থানের বেশিরভাগ মসজিদেও ৭টা থেকে শুরু হয়ে ঈদ জামাত। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে দেশ ও জাতির মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয় মসজিদে মসজিদে। অন্যান্যবার ঈদের নামাজে চট্টগ্রামের সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে এক কাতারে শামিল হতেন। কিন্তু গত বছর মহামারী শুরুর পর থেকে সে চিত্র পাল্টেছে। এবার দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বহাদ্দারবাড়ি মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ঈদুল আজহা হাজির হয়। তাই সরকারের নির্দেশনা ছিল মসজিদের ভেতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সে আলোকে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের ভেতরেই ছিল মুসল্লিদের সারি। অন্যান্যবারের মত প্রাঙ্গণ ছাপিয়ে মাঠ পর্যন্ত সে সারি দীর্ঘ হয়নি। নামাজ পড়তে আসা অনেকের হাতে স্যানিটাইজার ছিল। বেশিরভাগ নিজেদের জায়নামাজ নিয়ে এসেছিলেন। শিশুদের অংশগ্রহণও ছিল অন্যবারের চেয়ে কম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদেও পর্যটক শূন্য পাহাড়
পরবর্তী নিবন্ধইলিশের আকার ছোট জেলেরা হতাশ