ইলিশের আকার ছোট জেলেরা হতাশ

দুই মাস পর প্রতিকূল আবহাওয়ায় সাগরযাত্রা নিষিদ্ধ সময় নিয়ে ভাবার আহ্বান

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

দুই মাসের বেশি সময় পর সাগরযাত্রা। অনেক আশা আর স্বপ্ন। তবে বড় সাইজের ইলিশ না পেয়ে হতাশ অনেক জেলে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল। তাই অধিকাংশ জেলে সাগরে যেতে পারেননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু বোট সাগরে গেলেও প্রত্যাশিত মাছ পাওয়া যায়নি। মাছের আকার ছোট। দশ শতাংশের মতো মাছ বড় হয়েছে। এক কেজির বেশি ওজনের মাছ বাজারে খুব একটা দেখা যায়নি। এদিকে, জেলেদের পক্ষ থেকে মাছ শিকার বন্ধ রাখার সময় নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা উন্মুক্ত করা হয়। উন্মুক্ত করার সাথে সাথে হাজার হাজার জেলে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় জেলেদের বেশিরভাগ সাগরে যেতে পারেননি। কিছু কিছু জেলে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় মাছ শিকারে যান। গতকাল সকালে সাগর উত্তাল থাকায় তারা ফিরে এসেছেন। গতকাল শনিবার ফিশারিঘাটসহ বিভিন্ন বাজারে বিপুল পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। চট্টগ্রামের জেলেদের পাশাপাশি সন্দ্বীপ ও নোয়াখালী অঞ্চল থেকেও বিপুল পরিমাণ মাছ বাজারে এসেছে। তবে গতকাল সকালে বাজারে ওঠা মাছের আকার প্রত্যাশিত নয়। তুলনামূলক ছোট মাছ ধরা পড়ছে। গতকাল বাজারে ৪শ-৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭শ-৮শ টাকায়। কিছু কিছু মাছ বড় সাইজের দেখা গেছে। বড় মাছগুলো ১২শ-১৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে সাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে গতকাল একাধিক বোট মালিক আজাদীকে জানিয়েছেন। মাছ শিকার বন্ধ রাখার সময়টা ঠিক হচ্ছে না মন্তব্য করে তারা বলছেন, গত ২০ মে যখন ৬৫ দিনের জন্য মাছ শিকার বন্ধ করা হচ্ছিল তখন সাগর শান্ত এবং বড় সাইজের ইলিশও ধরা পড়ছিল। ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর যখন মাছ শিকার উন্মুক্ত করা হলো তখন সাগর উত্তাল। আরও অন্তত দেড় মাস সাগর উত্তাল থাকবে। আবার ধরা পড়া ইলিশের আকৃতিও ৩শ থেকে ৫শ গ্রামের মধ্যে। যদি ২০ মে মাছ শিকার বন্ধ না করে আরও পরে করে আগস্ট মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখা হতো, তাহলে মে-জুন মাসে আরো কিছু মাছ শিকার করা যেত। আবার বর্তমানে যেসব ছোট মাছ ধরা পড়ছে সেগুলো আগস্টের পরে ধরা পড়লে আকৃতি আরো বড় হতো। বিষয়টি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বাজারে সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে শিকার করা বিপুল পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। কোরবানির সময় মানুষের ঘরে ঘরে মাংস থাকায় মাছের চাহিদা কিছুটা কম ছিল। এতে প্রত্যাশিত দাম থেকে বঞ্চিত হয়েছেন জেলেরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত
পরবর্তী নিবন্ধজাতিসংঘে দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাংলাদেশের রেজুলেশন গৃহীত