পথশিশু ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসুন

মাঈন উদ্দীন রুবেল | শনিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকদিন যাবৎ সূর্যের দেখা মিলছে না, কুয়াশাচ্ছন্ন ও সূর্যবিহীন দিন যাচ্ছে। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় লোকজন ও পথশিশুরা শুকনো কাঠ, ঘাস ও শুকনো ময়লা আবর্জনা স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নেয়। শীতের এমন সময়ে কনকনে শীতে শীতবস্ত্রহীন অসহায় লোকজন ফুটপাতে রাত যাপন করা লোকজন এবং পথশিশুরা তরতর করে কাঁপতে শরু করে। শীত আসে ধনীদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আর অসহায় গরীব ও পথশিশুদের জন্য আসে দুঃখ হয়ে।

আমাদের আঞ্চলিক কিছু কথা আছে, ‘পৌষের শীতে ভূত কাপে আর মাঘের শীতে বাঘ ডোরে’(গর্জন)। ‘পৌষ গেল, মাঘ আইল শীতে কাঁপে বুক/দুঃখীর না পোহায় রাতি হইল বড় দুখ’।’ গ্রামবাংলার এ কথাগুলোর মাধ্যমে আমাদের দেশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের শীতকালীন দৃশ্য ফুটে উঠে। সৃষ্টিকর্তার অপার ইচ্ছায় ও প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঋতুর পালাবদল ঘটে। এই পালা বদলের হাত ধরেই চলে আসে শীত।

সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি। মানবতার পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ। যা একজন মানুষকে উদার ও বড় করে তোলে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, তাই গরিব-অসহায়, দুস্থের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন ও সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক।

সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীরা এ সকল শীতার্ত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করলেই এ থেকে তারা মুক্তি পেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এলেই শীত নিবারণের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব।

আসুন, আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই। এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ববোধই হতে পারে অসহায়ের সহায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ার দক্ষিণ কাঞ্চনা ডি.সি রোডে সংস্কার চাই
পরবর্তী নিবন্ধভাব বিনিময়-ই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে