ঢাকার গুলশানের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশন নন-বন্ডেড বা লোকাল তৈরি পোশাক রপ্তানির নামে ২২ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে। নগরীর বেসরকারি কন্টেনার ডিপো এছাক ব্রাদার্স লিমিটেড ডিপোতে অভিযান চালিয়ে মুদ্রা পাচারের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আহসান উল্লাহ।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ইনফিনিট সার্ভিস সলিউশনের পক্ষে ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক এছাক ডিপোতে তৈরি পোশাকের চালান জাহাজীকরণের জন্য কন্টেনারে লোড করে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্য চালানে ৩৮ হাজার ৩১১ পিস তৈরি পোশাক রপ্তানির ঘোষণা দিয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলেন।
উপ-কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, রপ্তানি নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে-৩৮ হাজার ৩১১ পিস তৈরি পোশাকের বিপরীতে ২১ হাজার ৯৭২ ডলার ৭৫ সেন্ট ঘোষণা দেয় দেয় রপ্তানিকারক। যাতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা প্রাপ্য হতো। তবে ৩৮ হাজার ৩১১ পিস পোশাকের বদলে তারা ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস রপ্তানির চেষ্টা করেন। কায়িক পরীক্ষা শেষে ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস তৈরি পোশাকের মূল্য দাঁড়ায় ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা। ফলে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গত ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে গত ২১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি সলিউশন পাঁচটি পণ্যচালান রপ্তানি করেছে। এসব চালানেও পণ্য রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাস্টমস আইনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।