খাগড়াছড়ির পানছড়ির লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশাধন চাকমার থাপ্পড়ে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী পানছড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম সুজনা আক্তার (১৫)। পড়া বলতে দেরি করায় তার কান ও গালে চড় মারায় ছাত্রীর নাক ফেটে রক্ত বের হয়। ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
গত রোববার দুপুরে টিফিনের পর প্রথম ঘণ্টায় লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী সুজনা আক্তার লোগাং বাজার এলাকার মো. হোসেনের মেয়ে। সে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আশাধন চাকমা স্যার বাংলা দ্বিতীয়পত্র নিতে ক্লাসে আসেন। পাঠদানের এক পর্যায়ে সুজনা আক্তারকে পড়া ধরলে সে তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেনি। এ সময় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে তার নাকে–গালে সজোরে চড় মারেন। পরে সুজনার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। এ সময় ফ্লোরে অনেক রক্ত পড়ে। আমরা পানি দিয়ে নাকের রক্ত পরিষ্কার করি। পরে স্যার পানি দিয়ে দ্রুত ফ্লোরের রক্ত ধুয়ে ফেলেন। তিনি এর আগেও অনেকের গায়ে হাত তুলেছেন।
সুজনা আক্তারের মা কুলছুমা বিবি বলেন, আশাধন স্যার আমার মেয়ের নাকে–গালে অনেকগুলো থাপ্পড় দিয়েছে। যার কারণে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির চাকমা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে গেছে। থাপ্পড়ে আহত ছাত্রী আমার কাছে বিচার নিয়ে আসলে আমি তার অভিভাবকের সামনে শিক্ষককে ডেকে সতর্ক করি। ছাত্রীর চিকিৎসায় যত খরচ হবে তা শিক্ষক বহন করবেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশাধন চাকমা বলেন, ক্লাসে আমি বাংলা দ্বিতীয়পত্র পড়াচ্ছিলাম। তখন ছাত্রীটি ক্লাসে মনোযোগী ছিল না। এতে আমি একটু ক্ষিপ্ত ছিলাম। পরে তাকে একটা পড়া ধরি, সে না পারায় আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি। পরে দেখি তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এমনটা হবে আমি বুঝতে পারিনি। আহত শিক্ষার্থী সুজনা আক্তার বলেন, স্যার আমাকে বাংলা ব্যকরণ নিয়ে প্রশ্ন করে উত্তর দিতে না পারায় থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে আমার নাক ফেটে রক্ত বের হয়। আমি নাকের ব্যথায় কথা বলতে পারছি না।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, মেয়েটি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ নিয়ে আজকে বিদ্যালয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। ভিকটিম চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।