পটিয়ায় নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

পটিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২০ মে, ২০২২ at ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

ঋণ খেলাপির অভিযোগে পটিয়ার ছনহরায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাই করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ খেলাপির দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাসেলের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থিতা টিকে রয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী, মো. সাহাবুদ্দিন এবং মো. জাহেদুল হকের। তবে ব্যাংকে হিসাব না খোলায় মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচন কর্মকর্তা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এদিকে কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হক, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদ ও মনির আহমদসহ ৯টি ওয়ার্ডের ৪১ জন সাধারণ সদস্য এবং ৩টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ১৩ জনসহ সর্বমোট ৫৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুস শুক্কুর।
জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছনহরায় ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২টি ভোট কেন্দ্র বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী আরো ৩টি ভোট কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম এর সত্যতা পায়। পরবর্তীতে আবদুর রশিদ দৌলতী উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করেন। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিত ২টি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম বিজয়ী হলেও এটি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী প্রত্যাখান করে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হন। ওই মামলায় আদালত গেজেট স্থগিতের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে বিবাদী নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম গত ২৫ মার্চ মারা গেলে উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ছেলে মামুনুর রশিদ রাসেল মনোনয়ন পান।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোছাইনী জানিয়েছেন, ঋণ খেলাপির কারণে যাচাই বাছাইয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী জানিয়েছেন, চতুর্থ ধাপে ছনহরায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ নিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেছেন। বিবাদী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মারা যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এবারও কেন্দ্র দখল ও জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ করতে পায়তারা করছে বলে অভিযোগ।
কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ও পটিয়ার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। তবে কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটায় ইভিএম পদ্ধতিতে ও ছনহরায় ব্যালট পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৬ মে ও প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিনে তিন লাখ ইয়াবাসহ আটক ১০