পটিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রি

অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে অর্ধশতাধিক দোকান ও কিছু পেট্রোল পাম্পে অকটেন, ডিজেল, কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি নেই বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাস স্টেশন, শাহ্‌ চান আউলিয়া দরগাহ গেট, কমলমুন্সির হাট, আমজুর হাট, মনসার টেক ছাড়াও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজার ও জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব জ্বালানি তেল বিক্রির অবৈধ দোকান। এছাড়া ৭/১০টি বৈধ পেট্রোল পাম্প থাকলেও অধিকাংশই অবৈধ বা অনুমোদনহীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রির করার জন্য চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএ ভবনস্থ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। এছাড়াও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ, পরিবেশ অধিদপ্তর, থানা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও তেলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে ডিলারশিপ বাধ্যতামূলক। কিন্তু এতো কিছু কাগজপত্র ও ছাড়পত্র ছাড়াই এসব অবৈধ দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের মতো দাহ্য ও স্পর্শকাতর পদার্থগুলো। এছাড়াও ‘এম’-ফরম লাইসেন্সে পেট্‌্েরাল ও অকটেন বিক্রি করা যায়। অপরদিকে ‘চ’-ফরম লাইসেন্সে ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও অবৈধ এসব দোকানগুলোতে এসব নিয়মনীতির কোনটিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ১৯৯৯ সালে খাসমহল এলাকায় পটিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ধরণের একটি দাহ্য পদার্থ বিক্রির দোকানে অগ্নিদুর্ঘটনায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর বাইরেও বিভিন্ন সময় অনেক অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে বাস স্টেশনস্থ যমুনার ডিলার নজরুল ইসলাম বলেন, বৈধভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অথচ অবৈধ তেল ব্যবসায়ীরা সবার সামনেই কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। এ বিষয়ে শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তারা কোনভাবেই এসব পাম্প ও দোকান চালাতে পারে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক ছাদের নিচে নাগরিক জীবনের সবকিছু
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আরও ৫শ ইএফডি মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত