চট্টগ্রামে আরও ৫শ ইএফডি মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত

ভ্যাট ফাঁকি রোধ ও আদায়ে আনবে গতি ।। চাহিদাপত্র পাঠানো হয় এনবিআরে

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

ভ্যাট ফাঁকি রোধ এবং আদায়ে গতিশীলতা আনতে চট্টগ্রামে আরও ৫০০টি ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম দপ্তর। ইতোমধ্যে ইএফডি মেশিনের চাহিদাপত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে। ইফএফডি আসা সাপেক্ষে আগামী মাস থেকে স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান ভ্যাট কর্মকর্তার। এর আগে নগরীতে দুই দফায় মোট ৫২০টি ইএফডি মেশিন বসানো হয়।
ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, ইএফডি মেশিন এনবিআর কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকার ফলে ক্রেতা মূল্য পরিশোধের সময় সাথে সাথে আরোপিত ভ্যাট আলাদা হয়ে যাবে। এছাড়া কেনাকাটার সময় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভ্যাট আদায়ের ফলে রাজস্ব আদায় বাড়ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যখনই ভ্যাট দিই, আমাদের সন্দেহ করা হয়। বলা হয়, আমরা ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছি। এই মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাবে, এতে সন্দেহ দূর হবে। তবে সবাইকে ইএফডি মেশিনের আওতায় আনতে হবে। একটি শপিং সেন্টারের অর্ধেক দোকানে যদি মেশিনের আওতায় বাকি যদি না দেয়া হয়, তবে গ্রাহকরা স্বাভাবিকভাবে যে দোকানে ইএফডি মেশিন নাই সেখানেই যাবে।
জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. আকবর হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভ্যাট ফাঁকি রোধ ও আদায়ে গতি বাড়াতে আমরা এনবিআরে আরো ৫০০টি ইএফডি মেশিনের চাহিদা দিয়েছি। শিগগিরই সেসব মেশিন আসবে। মেশিন পাওয়া গেলে আমরা স্থাপনের কাজ শুরু করবো। ইএফডি মেশিনকে জনপ্রিয় করে তুলতে এনবিআর প্রতি মাসের ৫ তারিখে এনবিআর চার ক্যাটগরিতে লটারির মাধ্যমে ১০১টি পুরস্কার ঘোষণা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। ক্রেতারা পণ্য কিনে যেন ভ্যাট চালানটি বুঝে নেন।
জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ইএফডি বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ইএফডি মেশিন বাধ্যতামূলক এমন ২৫ ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুডের দোকান, ডেকোরেটার্স ও ক্যাটারার্স, মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ ও ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, সামাজিক ও খেলাধূলা বিষয়ক ক্লাব, তৈরি পোশাকের দোকান, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয় কেন্দ্র, শপিং সেন্টার ও শপিং মলের সব সেবা প্রদানকারী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর ও সুপারশপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসা (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক লন্ড্রি, সিনেমা হল এবং সিকিউরিটি সেবা, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টান্ন ভান্ডার, স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার এবং সোনা-রুপার দোকানদার এবং স্বর্ণ পাকাকারী, আসবাব বিক্রয়কেন্দ্র, কুরিয়ার ও এঙপ্রেস মেইল সার্ভিস, বিউটি পার্লার, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার এবং কোচিং সেন্টার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা