নয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি দিল এসএওসিএল

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

স্টান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে (এসএওসিএল) চলতি মাসে বিপিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ব্যতিরেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলনের ঘটনায় নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়। সর্বশেষ গতকাল ২৫ অক্টোবর ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার প্রধান নির্বাহী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছে এসএওসিএল। একইভাবে বিল ভাউচারে উপ-মহাব্যবস্থাপকের অনুমোদন ব্যতীত চেক ইস্যু না করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিবসহ ৭ কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়। সূত্র জানায়, গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিপিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোরশেদ হোসাইন আজাদকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেয় বিপিসি। তাছাড়া এসএওসিএলের ৪০০তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, “কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যাবলী সচল রাখতে সকল ধরণের ব্যয়, বিল, ভাউচার ইত্যাদি উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদ অনুমোদন করবেন।”
সম্প্রতি বিপিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অগোচরে ৬৫ লক্ষ ও ৩০ লক্ষ টাকার দুটি চেক উত্তোলন করা হয়। ২৫ অক্টোবর উপ-মহাব্যবস্থাপক মোরশেদ হোসাইন আজাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পত্রে স্বাক্ষরকারী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নথিতে অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকের আর্থিক কার্যাবলী সম্পাদিত হচ্ছিল। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনুমোদন ব্যতিরেখে অনুমোদিত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। যা এসএওসিএল এর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের লংঘন। এতে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানো হয়েছে। সার্বিক বিষয়টি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোশেন কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। এমতাবস্থায় অনুমোদিত ব্যাংকসমূহকে সংশ্লিষ্ট স্বাক্ষরকারীকে অবহিত না করে কোনরূপ চেক পাস না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।’ জনতা ব্যাংক, অগ্রনী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ডাচ্‌ বাংলা ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল টাস্ট ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার প্রধান নির্বাহী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়।
একইভাবে বিপিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন ব্যতিরেখে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন ও কোন চেকে স্বাক্ষর না করার নির্দেশনা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব ও ব্যবস্থাপক ছিদ্দিকুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক মাহমুদুল হক তুষার, মোকাররম হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক হায়দার আলী ফকির, কর্মকর্তা কামরুল হুদা, আতাউর রহমান ও আলমগীর হোসেনকে চিঠি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোরশেদ হোসাইন আজাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপিসি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে না জানিয়ে চেক ইস্যু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমোদন ব্যতিরেখে প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকার মতো চেক উত্তোলন ও ট্রান্সফার করার বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি এখন জানাজানি হওয়ার পর কি পরিমাণ চেক ইস্যু হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যে ৯টি ব্যাংকে হিসেব রয়েছে, তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও চিঠি দেয়া হয়েছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ প্রশ্নে হাই কোর্টের রুল
পরবর্তী নিবন্ধছয় লেন হচ্ছে ইন্দ্রপুল সেতু